আর এ গণির জানাজা হবে ধানমন্ডি ও নয়াপল্টনে

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গণিকে (৮৯) আজ শুক্রবার তিন দফা জানাজা শেষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। ধানমন্ডি, নয়াপল্টন ও জাতীয় সংসদ এলাকায় তাঁর জানাজা হবে। দলের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন আর এ গণি।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আর এ গণির মরদেহ তাঁর ধানমন্ডির বাসায় রাখা হবে। বাদ জুমা ধানমন্ডির ঈদগাহ মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা হবে। এরপর তাঁকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেওয়া হবে। সেখানে বেলা আড়াইটায় তাঁর দ্বিতীয় জানাজা হবে। তাঁর পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তৃতীয় জানাজা হবে। সেখান থেকেই মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বনানী কবরস্থানে। স্ত্রীর কবরে আর এ গনির লাশ দাফন করা হবে।


প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আর এ গণির জন্ম ১৯২৭ সালে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার বসনিয়া পাড়া গ্রামে। তিনি ম্যাট্রিকুলেশনে ১৩ তম স্থান অর্জন করেন। এরপর কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং ১৯৫২ সালে ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বর্তমান বুয়েট) থেকে পুরকৌশল স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি ঢাকায় গণি বাংলা লিমিটেড নামে একটি প্রকৌশল বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ১৯৬৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং এরপর ওয়াশিংটনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ভাষা আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। জিয়াউর রহমানের হাত ধরে তিনি রাজনীতিতে আসেন।

আর এ গণি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি তিন মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন।