মেট্রোরেলের রুট পরিবর্তন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

মেট্রোরেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ক্ষতি হবে না—মেট্রোরেল প্রকল্পের পরিচালকের এমন বক্তব্যের যুক্তি খণ্ডন করে শিক্ষার্থীরা পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, ‘রুট পরিবর্তনের দাবি মানতে বাধা কোথায়?’
গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করে মেট্রোরেলের রুট পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁদের যুক্তি তুলে ধরেন। এ সময় তাঁরা ১১ ফেব্রুয়ারি চারুকলা অনুষদের সামনে প্রতিবাদী ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনীর কর্মসূচি দিয়েছেন। এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকা মাস ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বা মেট্রোরেল প্রকল্পের পরিচালক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, বর্তমান রুটে মেট্রোরেল হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ক্ষতি হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রস্তাবিত রুট বাস্তবায়িত হলে জাতীয় জাদুঘর, কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি, চারুকলা অনুষদ, সন্ত্রাসবিরোধী রাজু স্মারক ভাস্কর্য, টিএসসিতে অবস্থিত গ্রিক স্থাপনা, বাংলা একাডেমি, তিন নেতার মাজার, ঢাকা গেট, দোয়েল চত্বর, কার্জন হল ও শিশু একাডেমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থী উজমা তাজরিয়ান বলেন, বলা হচ্ছে, রুট পরিবর্তনের জন্য অনেক দেরি হয়ে গেছে। কিন্তু ডিএমটিসিএলের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বিশদ নকশা প্রণয়নের কাজ শেষ হবে আগামী আগস্টে। উপযোগিতা যাচাই জরিপ হবে আগামী বছরের মার্চে। কনট্রাক্ট প্যাকেজ ও টেন্ডার হবে আগামী বছরের অক্টোবরে, তবে রুট পরিবর্তনের দাবি মানতে বাধা কোথায়?
বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে রুট ঠিক করা হয়েছে—প্রকল্প কর্মকর্তাদের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট বর্তমানে পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধিশূন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতামত ছাড়া কীভাবে এটি চূড়ান্ত করা হলো? অংশীজনদের নিয়ে দুটি গণশুনানির একটি গত ৬ মে শাহবাগের গণগ্রন্থাগারে হয়েছে। কিন্তু সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন না।
উজমা তাজরিয়ান বলেন, ১২ হাজার শিক্ষার্থীর সই প্রমাণ করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা চান, মেট্রোরেলটি ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে না গিয়ে অন্য রুট দিয়ে যাক। এ সময় তিনি ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে মেট্রোরেলের আরও কিছু অসুবিধার কথা তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে টিএসসি এলাকায় ট্রেন থামলে বহিরাগত, রিকশা, গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাবে।