গ্যাটকো মামলা: খালেদাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালত এই রায়ের কপি পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে খালেদা জিয়াকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। 

আজ সোমবার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
খুরশিদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার রিট খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার দুই মাসের মধ্যে তাঁকে (খালেদা জিয়া) বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
তবে রিট খারিজের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন খালেদার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করব।’
একইভাবে নাইকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার রিট আবেদন হাইকোর্ট খারিজ করলে গত বছরের ৩০ নভেম্বর বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন খালেদা জিয়া।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনকে আসামি করে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে মামলাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই হাইকোর্ট এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন ও রুল দেন। ওই সময় থেকে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত ছিল। ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট জারি করা রুল খারিজ করে রায় দেন বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের বেঞ্চ।
গ্যাটকো মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন। খালেদা জিয়া ছাড়াও সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও এম কে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী প্রমুখ এ মামলার আসামি।
গ্যাটকো বাদে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তিনটি দুর্নীতির মামলার বিচারকাজ চলছে। এগুলো হলো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ও নাইকো দুর্নীতি মামলা। ঢাকার দুটি বিশেষ জজ আদালতে এসব মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ১৬টি মামলা বিচারাধীন।