দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উৎসব গতকাল শুক্রবার উদ্যাপিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান ও মহাসচিব এম ইকবাল আর্সলান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. হামিদুল হক খন্দকার প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সেবায় বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এ জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। শুধু তা-ই নয়, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের ফলে মা ও শিশুমৃত্যুর হার অনেক কমে আসায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি জেলার হাসপাতালে সিসিইউ ও আইসিইউ ইউনিট খোলা হবে। কৃষক ও গরিব মানুষ যাতে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই সব রকম চিকিৎসাসেবা পান, তা নিশ্চিত করা হবে।
শেখ হাসিনার সরকার জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এর জলজ্যান্ত উদাহরণ তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসাসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক। পৃথিবীর কোনো দেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম নেই। কিন্তু বাংলাদেশে রয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক একটি মডেল হিসেবে বিশ্বের দরবারে পরিচিতি লাভ করেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, এই এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সরকারই দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ করে। ইতিমধ্যে এমআরই মেশিন, সিটিস্ক্যান, কিডনি ডায়ালাইসিসসহ আধুনিক বেশ কিছু যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হয়েছে। এই হাসপাতালের পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু করতে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এর আগে বিকেলে অরবিন্দু শিশু হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হলে দেশে সামরিক শাসন আসত। পরবর্তী নির্বাচনও শেখ হাসিনার অধীনে ২০১৯ সালেই হবে। সেই নির্বাচনে খালেদা জিয়াকেও অংশগ্রহণ করতে হবে।