আনিসুল ইসলাম মাহমুদেরও বিচার হওয়া উচিত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে মামলা হয়েছে। তাঁর বিচার দাবি করা হচ্ছে। সংবাদপত্রে এক-এগারোর কুশীলবদের নাম আসছে। তাঁদের বিচার যদি করা হয়, তবে জাতীয় পার্টির মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদেরও বিচার হওয়া উচিত।
শেরপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গতকাল রোববার বিকেলে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন এরশাদ। একই দিন জামালপুর জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনেও প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ বিষয়ে প্রায় একই কথা বলেন। জামালপুর পৌর পাবলিক হল কক্ষে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শেরপুরে সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. ইলিয়াছ উদ্দিন। বক্তব্য দেন দলের কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ সাত্তার ও ফয়সল চিশতী, দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এরশাদ বলেন, ‘...আনিসও এক-এগারোর কুচক্রীদের একজন ছিলেন। ওই সময় আনিস আমার নিকট থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে দলের অস্থায়ী চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। কিন্তু তিনি (আনিসুল) সরকারের মন্ত্রী থাকায় তাঁর নাম সংবাদপত্রে আসে নাই।’
এরশাদ বলেন, তাঁর ভাই জি এম কাদেরকে দলের কো-চেয়ারম্যান করার পর দলে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। তাঁর নেতৃত্বে দল জেগে উঠেছে। জাতীয় পার্টিকে এখন আর কেউ প্রায় বিলুপ্ত দল বলতে পারবে না।
পরে এরশাদ শেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যথাক্রমে মো. ইলিয়াছ উদ্দিন ও মো. শফিকুল ইসলামের নাম ঘোষণা করেন। সম্মেলনে জেলা জাতীয় পার্টির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জামালপুরের সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, ‘আমরা সংসদে বিরোধী দল হিসেবে থাকলেও সরকারের প্রশংসা করতে হচ্ছে। সে জন্য আসল বিরোধী দল হতে হবে। এককভাবে আগামী সংসদ নির্বাচনে আসতে হবে।’
জামালপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এম এ সাত্তারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন দলের কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার প্রমুখ।