রডের বদলে বাঁশ: তদন্তে চুয়াডাঙ্গায় সংসদীয় স্থায়ী কমিটি

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় দুই কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ ভবন নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহারের অভিযোগ এবার তদন্ত করছে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির সভাপতি পাবনা-৩ আসনের সাংসদ মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল আজ শুক্রবার সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

আজ বেলা ১১টায় আলোচিত ওই ভবনে উপস্থিত হন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তদন্ত শুরু করেন। এ সময় তাঁরা নির্মাণকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, প্রধান নির্মাণ শ্রমিক, গণমাধ্যমকর্মী, জনপ্রতিনিধি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
স্থানীয় সাংবাদিক রেজাউল করিম কমিটিকে জানান, স্থানীয় একজন ছাত্রলীগ নেতার কাছ থেকে জেনে ৬ এপ্রিল বিকেলে ভবনে গিয়ে রডের বদলে বাঁশের ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যায়। তার ভিডিও ধারণ করা হয়। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা প্রচার করা হয়। সাংবাদিক রেজাউল করিমের বক্তব্য সমর্থন করে জেলা পরিষদের প্রশাসক ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এই ভবন নির্মাণের কাজ মানসম্মত হয়েছে বলে মনে করি না।’
এদিকে স্থায়ী কমিটির সদস্য সাংসদ রেজাউল করিম বাঁশ কেলেঙ্কারির পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক বিষয় জড়িত বলে অভিযোগ করলে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ করেন। সিরাজুল বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি এই প্রকল্পের বিষয়ে স্থানীয় রাজনীতিকেরা কোনো সুবিধা নেননি।’
স্থায়ী কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘দর্শনার উদ্ভিদ সংগনিরোধ ভবন নির্মাণে দুর্নীতি ও অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। আমরা কি দেখলাম, কি পেলাম, তা আমরা দেশের মানুষকে শিগগিরই জানাব। যেই দোষ করুক তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওই তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: বগুড়া-৬ আসনের সাংসদ নুরুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের সাংসদ রেজাউল করিম ও গাইবান্ধার সংরক্ষিত আসনের সাংসদ উম্মে কুলসুম।