খালেদা রাস্তায় না নেমে বাসায় আয়েশি জীবন কাটাচ্ছেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জনগণকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সঠিক সময়ে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ তাদের পছন্দ অনুযায়ী প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।’ তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতা রাস্তাঘাটে নিরীহ জনগণ হত্যা করছেন এবং দেশকে পুরোপুরি অরাজকতার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। কিন্তু তিনি নিজে রাস্তায় নামছেন না বরং বাসায় বসে আয়েশি জীবন কাটাচ্ছেন।’
আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের মুলতবি বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। খবর বাসসের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এমন একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যেখানে কোনো রকম হস্তক্ষেপ ছাড়া ক্ষমতা হস্তান্তর এবং জনগণের সাংবিধানিক ক্ষমতা কোনোভাবেই যাতে বিঘ্নিত না হয়।

বর্তমান রাজনৈতিক সংকট অবসানে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্যোগের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁদের একজন একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান। ‘কীভাবে আপনি একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানকে নিরপেক্ষ বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসাবে স্বীকৃতি দেবেন’ প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তির রাজনীতিবিদের মতোই কথা বলা উচিত।

বিএনপি-জামায়াত ককটেল ফাটাতে শিশুদের ভাড়া করছে

‘বিএনপি-জামায়াত সব ধরনের মানবিক মূল্যবোধ হারিয়েছে’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ট্রেন লাইনচ্যুত করে একসঙ্গে শত শত লোক হত্যা করার মাধ্যমে পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চায়। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা আন্দোলন করতে এবং আপনাদের দাবির প্রতি জনসমর্থন যাচাই করতে চাইলে রাস্তায় নেমে আসছেন না কেন?’

‘বিএনপি ও জামায়াত বোমা ও ককটেল ফাটাতে শিশু-কিশোরদের ভাড়া করছে এবং তাদেরকে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত করছে’ উল্লে­খ করে প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, যেসব শিশুকে বোমা তৈরি ও ছোড়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, তাদের ভবিষ্যত্ কী?

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট জাতির ভবিষ্যত্ ধ্বংস করার জন্য শিশুদের সন্ত্রাসী হিসেবে গড়ে তুলছে। তিনি জানতে চান, ‘তাদের লাখ লাখ কর্মী কোথায় গেল? তাদের বদলে কেন তারা শিশুদের ব্যবহার করছে?’

ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিরোধী দলের নেতাকে বারংবার আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। দুদলের সাধারণ সম্পাদক পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে উল্লে­খ করে তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো বিষয় নিষ্পত্তি করা সম্ভব।

লাল পতাকা ওড়ানো কৃষককে প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ

রেলপথের ফিস প্লে­ট খোলা দেখতে পেয়ে লাল পতাকা উড়িয়ে যে কৃষক বহু লোকের জীবন রক্ষা করেছেন, তিনি তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি বিএনপি-জামায়াতকে অনুরোধ করব ওই কৃষকের কাছ থেকে মানবতা শিখুন।’