ধর্মভিত্তিক বেশির ভাগ দলই নির্বাচনে নেই

নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ধর্মভিত্তিক দলগুলোর বেশির ভাগই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। মহাজোটের মিত্র হিসেবে পরিচিত ধর্মভিত্তিক সাতটি দলের মধ্যে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে দুটি দল। সেগুলো হলো বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন ও বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট (এম এ মতিন)।
দেশে ধর্মভিত্তিক অন্তত ২০ রাজনৈতিক দল সক্রিয় রয়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন আছে ১১টি দলের। এর মধ্যে বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট ও তরীকত ফেডারেশন থেকে শতাধিক প্রার্থী গতকাল বিভিন্ন আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে দল দুটির মহাসচিব জানিয়েছেন। নিবন্ধিত আরও দুটি দল ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ও জাকের পার্টি ক্ষমতাসীন মহাজোটের মিত্র হিসেবে পরিচিত। কিন্তু দল দুটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।
নিবন্ধিত অপর সাতটি দলের মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও খেলাফত মজলিস বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের শরিক। এর মধ্যে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। ১৮-দলীয় জোটের বাইরে থাকা চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, আহমদুল্লাহ আশরাফের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও শায়খুল হাদিস প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসও নির্বাচনে যায়নি।
অনিবন্ধিত ধর্মভিত্তিক দলগুলোর মধ্যে মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট, ফরিদ উদ্দিন মাসউদের নেতৃত্বাধীন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (একাংশ) ও জিয়াউল হাসানের সম্মিলিত ইসলামী জোট আওয়ামী লীগের মিত্র। এর মধ্যে মিছবাহুর রহমান চৌধুরী গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, একতরফা নির্বাচনে তাঁর দল যাবে না। আর ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেছেন, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকায় তাঁর দল নির্বাচনে যেতে পারেনি।
তবে বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোটের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর দলের নিবন্ধন না থাকায় তিনি বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা গিয়েছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে জমা দেওয়ার সময় পার হয়ে গেছে।