২২ শতাংশ প্রবাসী আয় আসছে অবৈধ পথে

দেশে বর্তমানে যত প্রবাসী আয় আসছে, তার ২২ শতাংশ আসছে অবৈধ পথে। দুই বছর আগেও অবৈধ পথে আসা প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ১০ শতাংশের কম। অর্থাৎ দুই বছরের ব্যবধানে দেশে অবৈধ পথে আসা প্রবাসী আয়ের পরিমাণ বেড়েছে ১২ শতাংশের বেশি।
এমন তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রবাসী আয়ের বিনিয়োগ-সম্পর্কিত এক জরিপভিত্তিক প্রতিবেদনে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদনের ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৫০ শতাংশের বেশি প্রবাসী আয় বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আসছে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ অর্থ আসে অবৈধ চ্যানেল বা অনানুষ্ঠানিক মাধ্যম দিয়ে। এর মধ্যে হুন্ডির মাধ্যমে সাড়ে ১২ শতাংশ। আর বন্ধু, আত্মীয়স্বজন বা পরিচিতজনের মাধ্যমে ১০ শতাংশ অর্থ অবৈধভাবে আসছে।
বৈধ চ্যানেলে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন বা মানিগ্রামের মাধ্যমে আসে প্রায় ১৩ শতাংশ প্রবাসী আয়। এ ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব ও বিকাশ ব্যবহার করে প্রবাসীরা সাড়ে ১৪ শতাংশ অর্থ প্রেরণ করে। পোস্ট অফিস ব্যবহার করেও কিছু অর্থ পাঠানো হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেন, প্রবাসী আয়ের একটি বড় অংশ অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে আসছে। এটি ব্যাংক ব্যবস্থা কিংবা অনুমোদিত মাধ্যম দিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রবাসী আয়ের অর্থ বিনিয়োগে ব্যবহারের জন্য সচেতনতা বাড়াতে বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বে প্রতিবছর গড়ে ৫৮ হাজার ৮০০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় হয়। এর মধ্যে ১ কোটি প্রবাসী বাংলাদেশির আয় মাত্র ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। এর কারণ অদক্ষ মানবসম্পদ প্রেরণ। অথচ ফিলিপাইনের অনেক কমসংখ্যক প্রবাসী বিদেশে কাজ করে অনেক বেশি আয় করেন।
কমপক্ষে একজন সদস্য বিদেশে আছেন এমন ১০ হাজার ৫০০ পরিবারের কাছ থেকে প্রতিবেদনটি তৈরিতে দুই ধাপে তথ্য নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের মার্চের প্রথম সপ্তাহে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। দৈবচয়নের ভিত্তিতে শহর ও গ্রামের প্রবাসী পরিবারগুলোর কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে।