মেহেরপুরে বিএনপির ১৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধেমামলা

মেহেরপুরে পুলিশ কর্মকর্তা আহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল সোমবার পুলিশ বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ১৫০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছে।

বাদী মেহেরপুর সদর থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলাসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় আসামিদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।

পুলিশ এ ঘটনায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (নাজিউর রহমান মঞ্জু) জেলা আহ্বায়ক শেখ সাইদ আহমেদ ছাড়াও বিএনপির সাতজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, গত রোববার রাত নয়টার দিকে ছাত্রলীগের হরতালবিরোধী একটি মিছিল থেকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়।

এ সময় তিনটি মোটরসাইকেল ও কার্যালয়ের আসবাব ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপি মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বিএনপির কার্যালয় ঘিরে রাখে। একপর্যায়ে বিএনপির কর্মীদের ইটের আঘাতে পুলিশের উপপরিদর্শক দুলু মিয়া আহত হন।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় শেখ সাইদ আহমেদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মীর গোলাম রহমান, সহসভাপতি বাদল, সদর উপজেলা যুবদলের সহসভাপতি ফারুক হোসেন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম, অফিস সহকারী গিলটি, শমসেরসহ ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ রোববার রাতে এবং গতকাল সোমবার সকালে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শেখ সাইদ আহমেদ, বিএনপির কর্মী রাজন, রায়হান, লিজন, তুষার, হানিফ, সাহারুল ও মুক্তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠান। আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে গতকাল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানান, ওই কর্মকর্তার অবস্থা উন্নতির দিকে। এই হামলা, নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা এবং গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।