ফুটপাতে সস্তা, মার্কেটে চড়া

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ এলাকার ফুটপাতের দোকানগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা৷ ছবিটি গতকাল বিকেলে তোলা l প্রথম আলো
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ এলাকার ফুটপাতের দোকানগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা৷ ছবিটি গতকাল বিকেলে তোলা l প্রথম আলো

গুলিস্তান-বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ঈদপোশাক কেনাকাটার উত্সব শুরু হয়ে গেছে। এখানে বহুতল বিপণিবিতান ও ফুটপাতে অবস্থানের মতো দামের পার্থক্যও বিরাট।
ঈদ সামনে রেখে ফুটপাতের বিক্রেতারা অনেকটা বাধাহীনভাবে পোশাকের পসরা সাজিয়েছে। অনেক স্থানে মোবাইল চার্জার, ইলেকট্রিক সামগ্রী রয়েছে। পাশাপাশি জুড়ে বসেছে ঈদের পোশাক। গুলিস্তান পাতাল মার্কেটের ওপরে চারদিক, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের কাছে প্রধান সড়কে, রমনা ভবনে জিপিওর পাশে ও বিপরীত দিকের ফুটপাত সরগরম হরেক রকম জামাকাপড়ে। ক্রেতাদের ভিড়ও আছে। রোজা শুরুর আগেও এলাকার ফুটপাত থেকে হকারদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল। এখন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) থেকে কোনো বাধা আসছে না বলে হকাররা জানিয়েছে। যদিও গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফুটপাত ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসা কিছু ভ্যানগাড়িকে সরিয়ে দিতে দেখা যায়। সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা শামসুল আলম বলেন, ফুটপাতে ব্যবসা করা যাবে—এ ধরনের কোনো ঘোষণা করপোরেশন থেকে আসেনি। তবে অহেতুক যানজট সৃষ্টি করলে সে ক্ষেত্রে বাধা আসতে পারে।
গুলিস্তানে রাজধানী হোটেলের পাশে শার্ট-প্যান্ট পছন্দ করছিল কিশোর কাব্য। দোকানি জিনসের দাম চাইলেন ৬০০ টাকা। কাব্যর বাবা রফিকুল ইসলাম বললেন ২০০ টাকা। শেষে আড়াই শ টাকায় রফা। ছেলে প্যান্টের সঙ্গে মিল করে টি-শার্ট খুঁজছিল। কাব্যর বাবা বললেন, ওই এলাকারই পীর ইয়ামেনী মার্কেটে একই রকম জিনসের প্যান্টের দাম চাওয়া হয়েছে এক হাজার টাকা।
গুলিস্তান সিঙ্গারের প্রদর্শনীকক্ষের সামনের ফুটপাতে ছেলেদের জামার পসরা। রীতিমতো সাইনবোর্ডে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে—একদর ৩০০ টাকা। একাধিক ক্রেতা জামা হাতে নিয়ে দর করছিলেন। বিক্রেতা আবদুল জব্বার বললেন, ‘কম নাই। এই জামাই গুলিস্তান ট্রেড সেন্টারে ৯০০ টাকার কমে দিব না।’
ক্রেতাদের কথার সূত্র ধরে গুলিস্তান ট্রেড সেন্টার ও পীর ইয়ামেনী মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, দামে আসলেই ফারাক। তবে কাপড়ের মান সমান কি না, তা বোঝার উপায় নেই। পীর ইয়ামেনী মার্কেটের তিনতলায় ক্রেতাদের বেশি ভিড়। অনেক ক্রেতাই দেখছেন বেশি, কিনছেন কম। ডেমরা থেকে শারমিন সুলতানা এসেছেন থ্রি-পিস কিনতে। ঘুরে ঘুরে কয়েকটি দোকান দেখেছেন। পছন্দ হয়নি।