বিএনপির নেতাদের নির্বাচনের অযোগ্য করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাদের নির্বাচনের অযোগ্য করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দেওয়ার মাধ্যমে এটা শুরু হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল আলোচনায় নজরুল ইসলাম এ মন্তব্য করেন। জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) ঢাকা মহানগর উত্তর ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

নজরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতারা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন, সে জন্য নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে। তারেক রহমানকে দিয়ে সেটি শুরু হয়েছে। বিএনপির যোগ্য নেতাদের যদি মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাচনের অযোগ্য করা যায়, তাহলে আওয়ামী লীগের জন্য নির্বাচনে জয়ী হওয়া সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু এটা সরকারের ভুল ধারণা। নির্বাচনে জয়ী হতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের দরকার হবে না।

নজরুল ইসলাম দাবি করেন, সরকার এত অপকর্ম করছে যে তারা ক্ষমতা ছাড়তে পারছে না। এ কারণে তারা একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া হয়েছে। বিচারিক আদালতে তারেক রহমান খালাস পাওয়ার পর তাঁকে সাজা দিয়ে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

জাসাস ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহসম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলাদা এক প্রতিবাদ সভায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, অর্থ পাচার মামলায় তারেক রহমানের কোনো দিক থেকে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। নিম্ন আদালত থেকে তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন।

রিজভী অভিযোগ করেন, এ দেশে যারা বিরোধী রাজনৈতিক দল, গণতন্ত্রের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে, তারা জেলে থাকবে, গুম হবে। এটাই হচ্ছে বর্তমান সরকারের বাস্তবতা। সরকার নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শত শত মামলা দিচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বজ্রকঠিন আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের সিংহাসন কাঁপিয়ে দেওয়া হবে।

অন্যদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির প্রমুখ বক্তব্য দেন।