বদরগঞ্জ বিএনপির সভাপতির পদত্যাগ

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক সাংসদ পরিতোষ চক্রবর্তী। তিনি গত বুধবার দুপুরে ডাকযোগে নিজের পদত্যাগপত্র জেলা বিএনপির সভাপতির কাছে পাঠিয়েছেন।
পদত্যাগপত্রে পরিতোষ চক্রবর্তী ‘শারীরিক অসুস্থতা’র কথা উল্লেখ করেছেন। তবে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে তিনি বিএনপির চলমান রাজনৈতিক অবস্থানের বিষয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পরিতোষ চক্রবর্তী তাঁর পদত্যাগপত্রের কপি গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় সাংবাদিকদের সরবরাহ করেন। এতে তিনি বলেছেন, বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিএনপির কোনো কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারছেন না। তাই তিনি দলের উপজেলা সভাপতি ও জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতিসহ দলীয় সব পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।
গতকাল রাত আটটার দিকে পরিতোষ চক্রবর্তীর সঙ্গে প্রথম আলোর এই প্রতিবেদকের কথা হয়। এ সময় তিনি বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোনো ভদ্রলোক রাজনীতি করতে পারবেন না মন্তব্য করে বলেন, এখন পেশিশক্তি ও অর্থশক্তি যাঁদের, রাজনীতিও তাঁদের। এ কারণেই তিনি বিএনপি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি ইমদাদুল হক ভরসা গতকাল রাত সাড়ে নয়টায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পরিতোষ চক্রবর্তীর পদত্যাগপত্র পাঠানোর বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত তিনি এমন কোনো চিঠি হাতে পাননি।
বর্তমানে পরিতোষ চক্রবর্তীর বয়স প্রায় ৬৬ বছর। তিনি ছাত্র ইউনিয়ন করতেন। আশির দশকে তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৯১ সালের উপনির্বাচনে তিনি বদরগঞ্জ থেকে জাতীয় পার্টির সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সালে ঢাকায় গিয়ে খালেদা জিয়ার হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন।