বছরে আড়াই কোটি লিটার দূষিত পানি নির্গতের আশঙ্কা

রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে বছরে কমপক্ষে আড়াই কোটি লিটার গরম ও দূষিত পানি নির্গত হবে, যা সুন্দরবন-সংলগ্ন নদীগুলোর পানির তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়াবে।
রামপাল প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা। তিনি গতকাল শনিবার তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ তথ্য দেন।
আরেক প্রকৌশলী মাহবুব সুমন বলেন, রামপাল প্রকল্প থেকে বছরে ৬৫০ কেজি পারদ নির্গত হবে। সবচেয়ে ভালো প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও এর ১০ শতাংশ অর্থ্যাৎ ৬৫ কেজি পারদ বাইরে যাবে এবং সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যপূর্ণ সংবেদনশীল স্থানে অপূরণীয় ক্ষতি করবে।
রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনে ‘সরকার-কোম্পানির মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তির জবাবে আলোচনা সভা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সুন্দরবন রক্ষায় একটি গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। যাঁরা সুন্দরবন রক্ষায় সরকারের ওপর আস্থা রাখতে বলেন, তাঁদের পক্ষে কোনো যুক্তি নেই। কিছু পরামর্শক এনে রামপাল প্রকল্পের পক্ষে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, রামপাল প্রকল্পের আশপাশের জমিতে ইতিমধ্যে সরকারি দলের লোকজন ও সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের ১৫০টি শিল্প প্রকল্পের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে সুন্দরবনকে ধ্বংসের আয়োজন চলছে।
আনু মুহাম্মদ ‘সুন্দরবন ধ্বংসী সকল চুক্তি’ বাতিলের দাবিতে ২০ আগস্ট দিনব্যাপী ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ও সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজিবউদ্দিন খান, গবেষক মাহা মির্জা, সিপিবির নেতা রুহিন হোসেন প্রমুখ।