নিখোঁজের ছয় দিন পর কিশোরের মাথাবিহীন লাশ

যশোরের চৌগাছা উপজেলা থেকে মারুফ হোসেন নামের এক কিশোরের মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের একটি শিমখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ১০ আগস্ট থেকে মারুফ নিখোঁজ ছিল।

মারুফ হোসেন স্বর্পরাজপুর দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে স্বর্পরাজপুর গ্রামের মালয়েশিয়াপ্রবাসী মহিদুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় লোকজন সন্ধ্যায় শিমখেতের পাশে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ রাত আটটার দিকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। উদ্ধারের সময় লাশের শরীরে মাথা ছিল না। একটি হাত কাটা অবস্থায় পাশে পড়ে ছিল।

নিহত মারুফের চাচা মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ আগস্ট সকালে মারুফের মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। তখন বাজারে যাওয়ার কথা বলে মারুফ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। পরদিন ১১ আগস্ট চৌগাছা থানায় নিখোঁজের একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। নিখোঁজের ছয় দিন পর আজ তার লাশ পাওয়া গেল। পরনের প্যান্ট দেখে লাশটি শনাক্ত করা হয়েছে।’

চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর জন্য টাকার লেনদেন নিয়ে মারুফের বাবা মহিদুলের সঙ্গে কিছু মানুষের বিরোধ ছিল। জমিজমা নিয়ে তাঁদের পারিবারিক বিরোধ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ দুটি কারণে মারুফকে হত্যা করা হতে পারে।