কটিয়াদীতে পাটের হঠাৎ দরপতন

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় এক সপ্তাহে পাটের দাম মণপ্রতি ৪০০ টাকা কমে গেছে। এতে কৃষকের মুখের হাসি ম্লান হয়ে আসছে।

কিশোরগঞ্জের সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন পাটের মোকাম কটিয়াদী। কিশোরগঞ্জের ভৈরব, কুলিয়ারচর, পাকুন্দিয়া, বাজিতপুর, করিমগঞ্জ ও নরসিংদীর মনোহরদীর চালাকচর ইউনিয়নে উৎপাদিত পাটের বেশির ভাগ এ মোকামে কেনাবেচা হয়।

গত রোববার মোকামের কয়েকজন ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক বছর ধরে পাটের বাজার কিছুটা ভালো। এবার আগের বছরগুলোর চেয়ে পাট চাষ ও উৎপাদন বেড়েছে। শুরুতে দামও ছিল বেশি। তবে ১০ দিন ধরে দাম কমছে। এর আগে প্রতিমণ বট পাট ২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন ওই পাটের সর্বোচ্চ মূল্য ১ হাজার ৮০০ টাকা। ২ হাজার ১০০ টাকার সুতি পাট এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। একই হারে কমেছে বগি পাটের দামও।

কটিয়াদী উপজেলার বরহাট্টা গ্রামের কৃষক ফজলুর রহমান বলেন, তিনি ১২ মণ বট পাট মোকামে এনেছেন। এখানে এসে শোনেন, মণপ্রতি পাটের দাম ৪০০ টাকা কমে গেছে। তিনি বলেন, এক একর জমিতে পাট চাষ করতে গড়ে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। এতে উৎপাদন হয় সর্বোচ্চ আট মণ পাট। বর্তমান মূল্যে বিক্রি করলে কিছুটা লাভ পাওয়া যাবে। তবে দাম কমা অব্যাহত থাকলে লাভের মুখ আর তাঁর দেখা হবে না।

এস এ ট্রেডার্সের মালিক সুবীর সাহা বলেন, প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পর অভ্যন্তরীণ বাজারে পাটের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। তবে কিছুদিনের মধ্যে মণপ্রতি ৪০০ টাকা কমে যাওয়া অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে।

জানতে চাইলে কটিয়াদী পাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আশিষ কান্তি সাহা বলেন, একসময় সরকারি ক্রয় কেন্দ্র ছিল। এখন নেই। সরকারিভাবে পাট ক্রয় করা হলে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকত। বাজার নিয়ন্ত্রণ, পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষক বাঁচাতে তিনিসহ অন্য ব্যবসায়ীরা সারা দেশে আগের মতো সরকারি পাট ক্রয় কেন্দ্র চালুর দাবি জানান।