কলেজে যান না, তবে বেতন তোলেন ঠিকই

জামালপুর সদর উপজেলার ঝাওলা গোপালপুর ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ এ বি এম ফরাদ উদ্দিন আট মাস ধরে কলেজে যান না। এরপরও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। তিনি স্থানীয় সাংসদের স্নেহভাজন বলে জানা গেছে।
উপাধ্যক্ষ ফরাদ উদ্দিন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বাড়ি জামালপুর পৌর শহরের হাটচন্দ্রা এলাকায়।
কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি থেকে ফরাদ উদ্দিন কলেজে অনুপস্থিত। তবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতি মাসেই তিনি বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন।
এ বিষয়ে ২৪ আগস্ট কলেজের করণিক মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, উপাধ্যক্ষ কলেজে না আসায় প্রশাসনিক অনেক কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। অনেক সময় অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে উপাধ্যক্ষ প্রশাসনিক সব কাগজপত্রে সই করতেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তিনি কলেজে না আসায় সমস্যা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে উপাধ্যক্ষ ফরাদ উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জামালপুর-৫ আসনের সাংসদ রেজাউল করিম বলেন, উপাধ্যক্ষের অর্জিত ছুটি পাওনা রয়েছে। তিনি সেই ছুটি কাটাচ্ছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘উপাধ্যক্ষ আমার কাছে ছুটির কোনো আবেদন করেননি। বেসরকারি কলেজে অর্জিত ছুটির ব্যবস্থা নেই। সত্যিকার অর্থে তিনি সাংসদ রেজাউল করিমের স্নেহভাজন। এ কারণে উপাধ্যক্ষের মাসিক বেতন-ভাতা উত্তোলনের বিলে সই না করলে, সাংসদ আমাদের সব শিক্ষকের বেতন-ভাতা উত্তোলনের বিলে সই করেন না। তাই বাধ্য হয়ে উপাধ্যক্ষকে বেতন দিতে হচ্ছে। এরপরও গত জুনে উপাধ্যক্ষের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাংসদ বিষয়টি জেনে আমাদের বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেন। এরপর উপাধ্যক্ষের বেতন-ভাতা চালু করা হলে, সভাপতি আমাদের বেতন-ভাতার বিলে সই করেন।’
অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন আরও বলেন, উপাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এর আগে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি মামলা রয়েছে।