চুলা শুধু রাতে জ্বলে

উত্তরার হরিরামপুর ইউনিয়নের ধউর এলাকায় গ্যাস–সংকট দেখা দিয়েছে। এখানে সারা দিন গ্যাস থাকে না৷ বাধ্য হয়ে কেরোসিনের চুলা ও সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করছেন বাসিন্দারা৷
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিয়মিত চুলাপ্রতি ৬৫০ টাকা গ্যাসের বিল পরিশোধ করেন তাঁরা৷ কিন্তু তাঁদের ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না৷
গত রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, ধউর এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে গ্যাস–সংযোগ লাইন রয়েছে৷ কিন্তু লাইনে গ্যাস সরবরাহ নেই৷ বাসিন্দারা কেরোসিনের চুলা ও সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করছেন। কেউ কেউ ঘরের বাইরে মাটির চুলাও তৈরি করেছেন। এতে জ্বালানি হিসেবে খড়কুটো ও কাঠ ব্যবহার করছেন।
মাটির চুলায় দুপুরের খাবার রান্না করছিলেন গুলগুলিয়া মোড়ের গৃহিণী সালমা আক্তার। তিনি বলেন, ‘দিনের বেলা লাইনে গ্যাস থাকে না। সন্ধ্যার পর লাইনে গ্যাস আসে। ভোরের আগেই চলে যায়। তাও চাপ কম। চুলা জ্বলে মিটমিট করে।’
প্রায় একই মন্তব্য করেছেন কালু মিয়া মোড়ের এক গৃহিণী। তিনি বলেন, ‘মাঝরাতের দিকে গ্যাসের চাপ একটু বেশি থাকে। তাই রাত তিনটায় উঠে রান্নায় বসতে হয়।’
ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানান, হরিরামপুর ইউনিয়নের ধউর, আশুতিয়া, পুরান কালিয়া, ধরঙ্গারটেক, নলভোগ, নয়ানগর, শুক্রভাংগা, শেখদিরটেক, দিয়াবাড়ি, চণ্ডালভোগ, রাজাবাড়ি, নয়ানীচালাসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের তীব্র সংকট রয়েছে৷
শিবমন্দির মধ্যপাড়ার বাসিন্দা বীরেন্দ্র চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘দিনের বেলায় একদমই গ্যাস থাকে না। মাঝরাতে উঠেই সারা দিনের রান্না সেরে নিতে হয়। দিনের বেলা কোনো অতিথি এলে এক কাপ চা বানিয়ে দেওয়ার উপায় পর্যন্ত থাকে না।’
ধউর মধ্যপাড়ার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, যেটুকু আগুন জ্বলে, এর ওপরে হাত রাখলেও কিছু হয় না৷ তাহলে রান্না চলবে কীভাবে?
হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ধউর ও আশুতিয়া ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল বারিক বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হলেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।