১১ নারী পেলেন 'অনন্যা সম্মাননা'

সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ১১ নারীকে ‘অনন্যা শীর্ষদশ-২০১৫’ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। গতকাল সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নারীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয় l ছবি: প্রথম আলো
সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ১১ নারীকে ‘অনন্যা শীর্ষদশ-২০১৫’ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। গতকাল সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নারীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয় l ছবি: প্রথম আলো

নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১০টি বিভাগে ১১ জন নারীকে ‘অনন্যা শীর্ষদশ-২০১৫’ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এই ১১ নারীকে সম্মাননা দেওয়া হয়। নারী-বিষয়ক সাময়িকী পাক্ষিক অনন্যা এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ বছর পর্বতারোহণের জন্য ওয়াসফিয়া নাজরীন, প্রযুক্তি খাতে সোনিয়া কবির বশির, সাংগঠনিক দক্ষতায় লুভা নাহিদ চৌধুরী, উদ্যোক্তায় মালিহা এম কাদির, সাংবাদিকতায় সুপ্রীতি ধর, সমাজকর্মে সাহিদা আক্তার স্বর্ণা, শিক্ষায় উম্মে তানজিলা চৌধুরী মুনিয়া, চলচ্চিত্রে অপর্ণা ঘোষ ও সংগীতে অণিমা মুক্তা গোমেজ এই সম্মাননা পেয়েছেন। এ ছাড়া খেলাধুলায় অবদান রাখায় যৌথভাবে এ পুরস্কার পেয়েছেন গত বছর এসএ গেমসে ভারোত্তোলনে স্বর্ণপদক বিজয়ী মাবিয়া আক্তার ও সাঁতারে স্বর্ণপদক বিজয়ী মাহফুজা খাতুন শিলা।
১৯৯৩ সাল থেকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য নারীদের এই সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। গত ২২ বছরে ২১০ জন কৃতী নারী এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
পাক্ষিক অনন্যার সম্পাদক তাসমিমা হোসেন সম্মাননা অনুষ্ঠানে বলেন, এই স্বীকৃতি নারীদের আরও অনুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত করবে।
চট্টগ্রামের দৃষ্টিহীন সমাজকর্মী উম্মে তানজিলা চৌধুরী মুনিয়া প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা অধিকার নিয়ে কাজ করার জন্য এবার অনন্যা সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিবন্ধী নারীরা যে কতটা পিছিয়ে আছে, সে কথা গণমাধ্যমে আসে না। আমি কৃতজ্ঞ, অনন্যার এই সম্মাননা আমার কাজকে আরও উৎসাহিত করবে।’
খেলাধুলায় যৌথভাবে সম্মাননা পাওয়া মাহফুজা খাতুন শিলা বলেন, ‘মেয়েদের যোগ্যতা থাকলে মেয়েদের কেন সুযোগ দেওয়া হবে না? সমাজে বৈষম্যের শেষ নেই, তবু মেয়েরা এগিয়ে যাবেই।’
আগে মেয়েরা লোকসংগীত গাইতে গেলে বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার হতো বলে জানান সংগীতে সম্মাননা পাওয়া অণিমা মুক্তা গোমেজ। এখন এ অবস্থার অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। তিনি জানালেন, জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লোকসংগীত নিয়ে তিনি কাজ করতে চান।
নারীর চোখে বিশ্ব দেখার প্রত্যয় নিয়ে ১৯৮৮ সালে পাক্ষিক অনন্যা যাত্রা শুরু করে। অনন্যা শুধু বাংলাদেশই নয়, সমগ্র বিশ্বের নারীর সক্ষমতা ও অগ্রগতিকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরে। লেখার মাধ্যমে তুলে ধরে নারীর মানবিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকারের বিষয়গুলো।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির, নারীনেত্রী মাহফুজা খানম উপস্থিত ছিলেন।