কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার

১২ ডিসেম্বর ২০১৩। রাত ১০টা এক মিনিট। বাংলাদেশের ৪৩তম বিজয় দিবসের প্রাক্কালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের প্রথম রায় কার্যকর হলো।
মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা ও ধর্ষণের দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার। নিজের কর্মের জন্য একাত্তরে তিনি ‘কসাই কাদের’ নামে পরিচিতি পান।
সরকারি ও কারাগার সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা এক মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মিত স্থায়ী ফাঁসির মঞ্চে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। দণ্ড কার্যকর করতে সহায়তাকারী জল্লাদের প্রধান ছিলেন শাহজাহান ভুঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কারা মহাপরিদর্শক মাঈন উদ্দিন খন্দকার, উপ-কারা মহাপরিদর্শক গোলাম হায়দার, ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শেখ ইউসুফ হারুন, জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক ফরমান আলী, কারাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, ঢাকার সিভিল সার্জন আবদুল মালেক, কারা চিকিৎসক রথীন্দ্রনাথ শম্ভু প্রমুখ।
শেখ ইউসুফ হারুন প্রথম আলোকে বলেন, রাত ১০টা এক মিনিটে ফাঁসি কার্যকর করে তাঁকে ২০ মিনিট ঝুলিয়ে রাখা হয়। চারজন জল্লাদ তাঁর (কাদের মোল্লা) ফাঁসি কার্যকর করেন। রাতেই অ্যাম্বুলেন্সে করে পুলিশি পাহারায় লাশ ফরিদপুরে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

রায় কার্যকর উপলক্ষে সন্ধ্যা থেকেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বাইরে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য নিরাপত্তাব্যূহ গড়ে তোলেন। সঙ্গে ছিল পুলিশের সাঁজোয়া যান। কারাগারের বাইরে ফাঁসির খবর জানতে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের শতাধিক সাংবাদিক। রাত পৌনে ১২টার দিকে কারাগারের সামনে স্থানীয় লোকজন সাজা কার্যকরকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেন। রাত ১১টার পর কাদের মোল্লার মরদেহবাহী দুটি অ্যাম্বুলেন্স ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৪টি গাড়ির বহর ফরিদপুরের দিকে রওনা হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার

হযরত আলী লস্করসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হত্যা ও মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আপিল বিভাগের ফাঁসির আদেশ

বিচার শুরু

২০১২ সালের ২৮ মে বিচার শুরু। গত ৫ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল-২

ফাঁসির দাবি

কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে তরুণদের ডাকে শাহবাগে গড়ে ওঠে গণজাগরণ মঞ্চ

আইন সংশোধন

২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিলের সমান সুযোগ রেখে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধন

রায় পুনর্বিবেচনা

১০ ডিসেম্বর রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন। ১২ ডিসেম্বর খারিজ