আর মাত্র ৩৪ আসন দরকার

সংসদ
সংসদ

প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনেই না থাকায় সরকারি দল আওয়ামী লীগের শতাধিক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। বিরোধী দল বিহীন দশম সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষ দিন ছিল আজ শুক্রবার। একাধিক প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন শতাধিক প্রার্থী।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নির্দেশে আজ দলের অনেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীর সংখ্যা বেড়েছে।
এর আগে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত একতরফা নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৪৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে জয়ী বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকার স্থায়ী হয়েছিল দেড় মাস।
রাত ১০টার দিকে নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ২০৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এদের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সংখ্যা শতাধিক।
কমিশন সচিবালয় সর্বশেষ যে হিসাব দিয়েছে তাতে ১২৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ১১৭ এবং জাতীয় পার্টির ৫ জন। ৩০০ আসনের সংসদে সরকার গঠন করতে আওয়ামী লীগের আর দরকার মাত্র ৩৪ আসন। আওয়ামী লীগ, জাপা, জাতীয় পার্টি-জেপিসহ এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ১৬টি দল। যারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী—

আওয়ামী লীগ

দিনাজপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বগুড়া-১ আব্দুল মান্নান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ গোলাম রব্বানী, সিরাজগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, ভোলা-১ শিল্পমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ঝালকাঠি-২ আসনে ভূমি-মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, টাঙ্গাইল-৪ আসনে পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-৪ রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, মানিকগঞ্জ-২ মমতাজ বেগম, ঢাকা-২ আসনে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-১৩ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা-১৯ আসনে এনামুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ-৪ শামীম ওসমান, মাদারীপুর-২ আসনে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, সুনামগঞ্জ-২ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সিলেট-১ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, চাঁদপুর-১ আসনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, চাঁদপুর-৩ আসনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, নোয়াখালী-৫ আসনে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, চট্টগ্রাম-৭ আসনে বন-মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, নীলফামারী-২ আসাদুজ্জামান নূর প্রমুখ।

জাতীয় পার্টি

চট্টগ্রাম-৫ জাপার সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও পানি পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বগুড়া-২ আসনে শরিফুল ইসলাম, বগুড়া-৩ আসনে নুরুল ইসলাম তালুকদার, ময়মনসিংহ-৫ আসনে সালাহউদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম-২ আসনে জাতীয় পার্টির তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

জেপি

পিরোজপুর-২ আসনে জেপির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন।

ওয়ার্কার্স পার্টি

ঢাকা-৮ রাশেদ খান মেনন ও রাজশাহী-২ আসনে ফজলে হোসেন বাদশা।

জাসদ

কুষ্টিয়া-২ হাসানুল হক ইনু, চট্টগ্রাম-৮ মাঈনুদ্দিন খান বাদল ও ফেনী-১ শিরিন আখতার।