স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন তিন আসামি

মুক্তিপণের জন্য অপহরণের পর উত্তরা ইউনিভার্সিটির বিবিএর ছাত্র আবদুর রহমান ওরফে রিয়াদকে খুন করা হয় বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামিরা। আসামি রেজাউল করিম, সাহাবুদ্দিন ও জামাল উদ্দিন গতকাল শনিবার গাজীপুর জেলা ও দায়রা আদালতে এ জবানবন্দি দেন।
জামালপুর সদর উপজেলার মোহনপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার একটি কাঁঠালগাছে ঝুলন্ত থাকা অবস্থায় গত ২৪ জুলাই সকাল আটটায় আবদুর রহমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদনে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। রিয়াদ নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর গ্রামের খাজা মাঈনুদ্দীনের ছেলে। তিনি টঙ্গীর চেরাগ আলী মাতবরবাড়ি সড়কের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
জবানবন্দিতে বলা হয়, ঘটনার দিন (২৩ জুলাই) চাকরি দেওয়ার কথা বলে রিয়াদকে প্রথমে উত্তরা হাউস বিল্ডিং এলাকায় মুঠোফোনের মাধ্যমে ডেকে আনা হয়। বেলা তিনটার দিকে রিয়াদ সেখানে গেলে তাঁকে মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলে আসামি রেজাউল এবং সাহাবুদ্দিন একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে ময়মনসিংহের উদ্দেশে রওনা হন। আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন জামাল। পথে একটি হোটেলে তাঁরা রাতের খাবার খান। তখন কোমল পানীয়ের সঙ্গে রিয়াদকে পাঁচটি ঘুমের ওষুধ খাওয়ান আসামিরা। তারপর তাঁরা জামালপুর সদর উপজেলার মোহনপুর দক্ষিণপাড়ায় গিয়ে রিয়াদকে হত্যা করে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন। পরে তাঁরা রিয়াদের বাবার (আবুধাবীপ্রবাসী) কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টঙ্গী থানার এসআই আলমগীর গাজী জানান, রিয়াদ অপহূত হওয়ার পর ৩০ জুলাই টঙ্গী থানায় রিয়াদের ফুফাতো ভাই মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে একটি অপহরণ মামলা করেন।