সুনামগঞ্জের দুই আসনে আ.লীগ-আ.লীগ লড়াই

সুনামগঞ্জের পাঁচটি আসনের দুটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে লড়বেন দলেরই দুই নেতা। নৌকার বিরুদ্ধে তাঁরা লড়বেন ফুটবল প্রতীক নিয়ে। একটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিএনএফের প্রার্থী।
এ ছাড়া দুটিতে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী ফাঁকা মাঠে ‘জয়’ পেয়েছেন। সুনামগঞ্জ-২ আসনে (দিরাই-শাল্লা) আওয়ামী লীগের নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবং সুনামগঞ্জ-৪ (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ একক প্রার্থী হিসেবে ‘জয়’ পেয়েছেন।
গত শুক্রবার সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের এনামুল কবির ইমন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদা ওরফে মুকুট মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
সুনামগঞ্জ-২ আসনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছাড়া প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টির জামিল চৌধুরী। তিনি আগেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
সুনামগঞ্জ-১ আসনে (তাহিরপুর-জামালগঞ্জ-ধরমপাশা) আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আছেন সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে রতন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ সৈয়দ রফিকুল হক ওরফে সুহেল।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনে (জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাংসদ এম এ মান্নান। এখানে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের ছেলে আজিজুস সামাদ আজাদ। সুনামগঞ্জ-৫ আসনে (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আওয়ামী লীগের সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক ও বিএনএফের প্রার্থী আশরাফ হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন ১৬ জন। শেষ পর্যন্ত দলের মনোনয়ন পান সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন। এ ছাড়া এখানে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ সৈয়দ রফিকুল হক, জাতীয় পার্টির আসাদুল্লাহ সরকার ও জাতীয় পার্টির (জেপি) বদরুদ্দোজা সুজা। পরে দুই দলের প্রার্থীই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
সৈয়দ রফিক ১৯৯৬ সালে এখানে আওয়ামী লীগ থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৪ সালে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ আবদুস সামাদ আজাদ মারা গেলে এখানে উপনির্বাচনে সাংসদ হন এম এ মান্নান। তখন আজিজুস সামাদ আজাদ দলের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন। এবারও দলের মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন।