জেএমবি ও হিজবুত তওহিদের সাত 'সদস্য' আটক

সিরাজগঞ্জ থেকে গতকাল মঙ্গলবার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) তিন সদস্যকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তিনজনই সহোদর। একই দিন নেত্রকোনায় হিজবুত তওহিদের চার সদস্যকে আটক করা হয় বলে পুলিশ জানায়।
সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে আটক তিন সহোদর হলেন সদর উপজেলার জামুয়া গ্রামের মো. সানাউল্লাহ (৪৮), মো. লিয়াকত উল্লাহ (৩৮) ও মো. বরকতুল্লাহ (৩০)। পুলিশ বলেছে, তাঁরা পুলিশের তালিকাভুক্ত জেএমবির সন্ত্রাসী এবং তাঁদের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ায় জঙ্গি কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাঁরা পলাতক ছিলেন।
সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওহেদুজ্জামান বলেন, জেএমবির এই তিন সদস্যকে গতকাল ভোররাতে সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল থেকে আটক করা হয়। দুপুরে সিরাজগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এদিকে নেত্রকোনা শহরের নাগড়া আনন্দবাজার মোড় এলাকার এক বাসা থেকে ভোরে গোয়েন্দা পুলিশ দুই নারীসহ হিজবুত তাওহিদের চার ‘সদস্যকে’ আটক করেছে। তাঁদের কাছ থেকে ধর্মীয় বইপুস্তক জব্দ করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন শেরপুর জেলার বাগরাকসা গ্রামের হাছেন আলীর ছেলে মো. মনিরুজ্জামান, তাঁর স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার সুমী, নালিতাবাড়ী উপজেলার রাজনগর গ্রামের মৃত আনারুল হকের মেয়ে পারুল আক্তার ও শরীয়তপুরের সখীপুর উপজেলার কাঁচিকাটা গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে সুজন হালদার। মনিরুজ্জামান হিজবুত তাওহিদ নেত্রকোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত আমির।