নদীপারের সবুজের সান্নিধ্যে

মিরপুরে তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্কে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসেন অনেকেই l প্রথম আলো
মিরপুরে তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্কে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসেন অনেকেই l প্রথম আলো

পার্কের প্রবেশমুখেই গাছগাছালি ঘেরা নার্সারি। ভেতরে আছে বিভিন্ন ধরনের রাইড। সাঁতার কাটার জন্য সুইমিংপুল। নদীর ধারে বসে গল্প করার জন্য ছাউনি দেওয়া বসার ব্যবস্থা। আর উদরপূর্তির জন্য আছে রেস্তোরাঁ। তুরাগ নদের পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠায় পাওয়া যায় ফুরফুরে বাতাস।
মিরপুর-আশুলিয়া বেড়িবাঁধ সড়কের গড়ান চটবাড়ী এলাকায় গড়ে উঠেছে এই পার্ক। তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্ক। ব্যক্তিমালিকানাধীন এই পার্ক প্রায় এক দশক আগে যাত্রা শুরু করলেও তখন এর কার্যক্রম ছিল খুব ছোট আঙ্গিকে। বর্তমানে পার্কটি তার পরিসর বৃদ্ধি করেছে।
প্রায় এক একর জায়গার ওপরে গড়ে ওঠা এই পার্কে আছে ‘ওয়ান্ডার হুইল’, ‘হানিসুইং’, ‘মনোরেল’, ‘বৈদ্যুতিক মিনি ট্রেন’, ‘সোয়ান অ্যাডভেঞ্চার’, ‘মেরি গো রাউন্ড’, ‘স্পেস শাটল’ ও ‘কিডস রাইড’ ইত্যাদি। প্রতিটি রাইডে ওঠার মূল্য জনপ্রতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা। পার্কের প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৫০ টাকা। তবে প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রবেশ করতে কোনো টিকিট লাগে না।
পার্কের সহকারী ব্যবস্থাপক হাসান ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, পার্কে প্রবেশ, আটটি রাইড, নাশতাসহ একটি প্যাকেজ আছে। জনপ্রতি ৩০০ টাকা। সম্প্রতি একটি রোলার কোস্টার বসানো হয়েছে। এর গতি ঠিক করার কাজ চলছে। কয়েক দিনের মধ্যেই এটি চালু হবে।
পুরো পার্কে সবুজের সমারোহ। প্রবেশমুখে একটি নার্সারি আছে। সেখান থেকে চাইলে গাছের চারাও সংগ্রহ করতে পারবেন। পার্কের এক কোনায় ওপরে ছাউনি দেওয়া চারপাশ খোলা সারি সারি কয়েকটি ঘর। তুরাগ নদের শাখা চলে এসেছে পার্কের পাশে। বেলা গড়িয়ে বিকেল হলে শরতের ফুরফুরে বাতাস ঘরগুলোতে দোল দিয়ে যায়।
মিরপুর ১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড কিংবা মাজার রোড নেমে রিকশায় তামান্না পার্কে যাওয়া যাবে। পার্কের উদ্দেশে বেড়িবাঁধ সড়ক ধরে রিকশা এগোতে থাকলে নদীর ধারের পরিবেশ বেশ উপভোগ্য। আশপাশের এলাকার অনেকেই বিকেল হলে ঘুরতে আসেন বেড়িবাঁধ এলাকায়। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে জনসমাগম তুলনামূলক বেশি হয়।
পার্কের ভেতরে একটি সুইমিংপুল আছে। ঘণ্টার হিসাবে যে কেউ এখানে সাঁতার কাটতে পারেন। জনপ্রতি এক ঘণ্টায় খরচ পড়বে ২০০ টাকা। যাঁরা শুধু সাঁতার কাটতে পার্কে প্রবেশ করবেন, তাঁদের প্রবেশমূল্যে ৫০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
পার্কের ভেতরের রেস্তোরাঁয় চটপটি, নুডলস থেকে শুরু করে কাবাব, লুচি, ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাইসহ নানান পদের খাবার পাওয়া যায়। খরচ পড়বে জনপ্রতি ৬০ থেকে ৩০০ টাকা। এ ছাড়া পিকনিক, জন্মদিনসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে এই পার্ক ভাড়া নেওয়া যায়। অনুষ্ঠানের অতিথিদের জন্য বিভিন্ন মূল্যের প্যাকেজ খাওয়ার ব্যবস্থা আছে।