গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের পুলিশ ভয়ভীতি দেখাচ্ছে

প্রতীকী ছবি

শুধু বিরোধী দল নয়। সত্য কথা বলায় অনেককে গুমের শিকার হতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘মায়ের ডাক’–এর সমন্বয়ক আফরোজা ইসলাম আঁখি। তিনি বলেন, জাতিসংঘ গুমের তালিকা প্রকাশের পর তদন্তের নামে পুলিশ গুমের শিকার পরিবারগুলোকে হয়রানি করছে। থানায় ডেকে তাঁদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। বসিয়ে রেখে পুলিশ বলছে, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে অথবা আর্থিক লোকসানে পড়ে কোথাও গেছেন। তাঁরা ফিরে আসবেন।

শনিবার রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার গুম উপন্যাসের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আফরোজা ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গুমের শিকার পরিবারের সদস্যরা তাঁদের ভাষ্য অনুযায়ী থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে পারেননি। তাঁদের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হয়েছে পুলিশের ভাষ্যমতে।

বইয়ের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে আফরোজা বলেন, গুম উপন্যাসে বলা হয়েছে, সাদাপোশাকে মাইক্রোবাসে এসে অর্ককে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ক উপন্যাসের চরিত্র হলেও বাস্তবে এভাবেই গুম করা হয়েছে। বিএনপির নেতা ইলিয়াস আলীকেও তাঁর বাড়ির গলি থেকে সাদাপোশাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়।

গুম হওয়া পরিবারগুলোর সংসার অচল হয়ে গেছে উল্লেখ করে আফরোজা ইসলাম বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তির বোন, স্ত্রীরা তা–ও চলাফেরা করছেন। কিন্তু মায়েরা সব সময় ছেলেকে নিয়ে চিন্তা করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর ছেলে আবরার ইলিয়াস। তিনি বলেন, ‘আমরা গুম হওয়া প্রতিটি পরিবার যে আর্থিক ও মানুষিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তা এ উপন্যাসে ফুটে উঠেছে। বইটি গুম হওয়া পরিবারের সদস্যরা পড়লে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পাবেন।’

উপন্যাসের লেখক নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে প্রধানমন্ত্রী এখন ভারত ও লন্ডন ঘুরছেন। প্রধানমন্ত্রী ভারতে কেন গেছেন, তাঁকে আরেকবার ক্ষমতায় রাখে কি না সে জন্য। ভারত তাঁকে কী বলেছে, আপনাদের কী মনে হয়। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সফল হয়নি।

অনুষ্ঠানে মাহমুদুর রহমানের লেখা আরও চারটি উপন্যাস নিয়ে আলোচনা হয়।