রাষ্ট্রপতি ছাড়া সবাইকে টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পারাপার হতে হয় বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেতু পারাপার হতে টোল দেন। উদ্বোধনের দিনেই ৫৯ হাজার ৬০০ টাকা টোল দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সংস্থা তাদের যানবাহন পারাপারের জন্য ৯১ লাখ ৭০ হাজার টাকা টোল দিয়েছে।
আজ রোববার বনানীর সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ওবায়দুল কাদের। পদ্মা সেতু চালুর এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় মন্ত্রী গত এক বছরে সেতুর আয় ও যানবাহন চলাচলের চিত্র তুলে ধরেন। মন্ত্রী জানান। চালুর পর থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত মোট যান চলাচল করেছে ৫৬ লাখ ৭৫ হাজার। এ সময় মোট টোল আদায় হয়েছে ৭৯৮ কোটি ২৩ লাখ ৯৬ টাকা। প্রথম বছর পদ্মা সেতু দিয়ে দৈনিক গড়ে সাড়ে ১৫ হাজার যানবাহন চলাচল করেছে। প্রতিদিন গড়ে আয় হয় ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
ওবায়দুল কাদের জানান, সর্বশেষ সংশোধন অনুযায়ী পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। দ্বিতলবিশিষ্ট এই সেতু একটি নিছকই পারাপারের সেতু নয়। এর সঙ্গে আছে রেললাইন। গ্যাস ও অপটিক্যাল ফাইবার লাইন গেছে সেতু দিয়ে। পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য ৪০০ কেভি লাইন নির্মাণ করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, উদ্বোধনের পর থেকে থেমে থাকতে হয়নি। নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে আসছে সেতুটি। এক বছর পূর্তিতে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণে সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। ধন্যবাদ জানান, নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্তদের।
পদ্মা সেতু একসময়ের অবহেলিত জনপদকে দ্যুতিময় করেছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ছোট-বড় শিল্পকারখানা স্থাপিত হচ্ছে। খুলে গেছে স্বপ্নের দ্বার এবং সম্প্রসারিত হয়েছে সম্ভাবনার দিগন্ত।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস প্রমুখ।