মানসিক রোগ প্রতিরোধে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। শিখতে হবে মানসিকভাবে ভালো থাকার কৌশল। আর প্রাত্যহিক জীবনে সেই কৌশল প্রয়োগ করতে হবে।
বেসরকারি সংস্থা ইনোভেশন ফর ওয়েলবিইং ফাউন্ডেশন আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘ঢাকা ওয়েলবিইং সামিট’ (সুস্থতাবিষয়ক সম্মেলন)–এর সমাপনী দিনের আয়োজনে আজ শনিবার এ পরামর্শ দেন বক্তারা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
‘প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ভালো থাকা’ এই স্লোগান সামনে রেখে রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শুক্রবার ছিল সম্মেলনের প্রথম দিন। সম্মেলন আয়োজনে সহযোগিতা করেছে ফ্রান্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠান দ্য ওয়েলবিইং প্রজেক্ট। এ ছাড়া সহায়তা করেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট ফর এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট, হিরোজ ফর অল, ম্যাপ ফটো এজেন্সি ও লিবার্টি।
সাংবাদিক শাহনাজ মুন্নীর সঞ্চালনায় সমাপনী দিনের শুরুর অধিবেশনে থাকে গল্পকথন। শহীদ বুদ্ধিজীবী আলতাফ মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে মানসিক আঘাত মোকাবিলার কৌশল তুলে ধরেন। জীবন থেকে নেওয়া গল্প তুলে ধরেন আসিফ ইকবাল।
এ ছাড়া ভালো থাকার সঙ্গে খাদ্যের সম্পর্ক, সন্তানের সুষ্ঠু প্রতিপালনে মা–বাবার দক্ষতা, দুঃখ-শোক প্রশমন, মনকে স্থিতু করা এবং মৃৎশিল্পের মাধ্যমে থেরাপি, আর্ট থেরাপি, সাউন্ড থেরাপি ইত্যাদি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (এনসিডিসি) বিভাগের লাইন পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ রোবেদ আমিন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চিরিরবন্দরে ও নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ‘ওয়েলনেস সেন্টার’ গড়ে তুলেছে। কেউ মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে এলে তাঁদের স্ক্রিনিং (পরীক্ষা–নিরীক্ষা) করা হয়। পাশাপাশি চিকিৎসক ও নার্সদের মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেন্টার দুটি থেকে ১ হাজার ব্যক্তিকে মানসিক সেবা দেওয়া হয়েছে।
ইনোভেশন ফর ওয়েলবিইং ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মনিরা রহমান বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া সবার অধিকার। মানসিক রোগ প্রতিরোধের জন্য সচেতন হতে হবে। মানসিকভাবে ভালো থাকার কৌশলগুলো শিখে নিতে হবে এবং প্রাত্যহিক জীবনে তা প্রয়োগ করতে হবে।