হাদি হত্যা মামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক কবির পুনরায় রিমান্ডে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক মো. কবিরকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
পুলিশের আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ এই আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাত দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিমের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তাঁকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, কবির এজাহার নামীয় আসামি ফয়সাল করিমের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আসামি রিমান্ডে থাকা অবস্থায় মামলার কিছু তথ্য প্রদান করলেও অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এড়িয়ে গেছেন। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল আসামির জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে ক্রয় করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ইন্ধনদাতা ও পরিকল্পনাকারী ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ ও গ্রেপ্তারের জন্য পুনরায় সাত দিনের রিমান্ড চাচ্ছি।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ফয়সাল দেশে না বিদেশে আছেন, এ বিষয়ে এখনো জানা যায়নি। এ আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া হলে এ বিষয়ে আরও তথ্য জানা যাবে। তাই তাঁর সাত দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করছি।
শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কবিরকে ১৪ ডিসেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী এলাকায় একটি ইটভাটার ছনের ঘর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরের দিন রাতে তাঁকে পল্টন থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে মামলার তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর দুপুরে মতিঝিল এলাকায় প্রচার শেষে ফেরার পথে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা তাঁর মাথায় গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
হাদিকে গুলির ঘটনায় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের ১৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। হাদির মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।