দুবাইয়ে ‘৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ’, অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

দেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ কেনার অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ বৃহস্পতিবার আবেদনটি জমা দেওয়া হয়। আগামী রোববার আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

‘দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার প্রপার্টি’ শিরোনামে গত মঙ্গলবার একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস আবেদনটি করেন। তিনি নিজেই আবেদনটি আজ আদালতে জমা দেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।

এর আগে বিদেশি ব্যাংকগুলো, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের অনেক নাগরিক ও কোম্পানির জমা রাখা পাচারের অর্থ উদ্ধারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুবীর নন্দী দাসসহ সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী একটি রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।

ওই রিটের ধারাবাহিকতায় দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের সম্পত্তি কেনার অভিযোগ অনুসদ্ধানের নির্দেশনা চেয়ে আবেদনটি করা হয় বলে জানিয়েছেন সুবীর নন্দী দাস। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এই অভিযোগ অনুসন্ধানের অগ্রগতি জানিয়ে দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

১০ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশ্যে-গোপনে বিপুল পরিমাণ মূলধন স্থানান্তরিত হচ্ছে দুবাইয়ে। এ অর্থ পুনর্বিনিয়োগে ফুলেফেঁপে উঠছে দুবাইয়ের আর্থিক, ভূসম্পত্তি, আবাসনসহ (রিয়েল এস্টেট) বিভিন্ন খাত।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের (সি৪এডিএস) সংগ্রহ করা তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে সম্পত্তি কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি।

২০২০ সাল পর্যন্ত তাঁদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি সম্পত্তি কেনার তথ্য পাওয়া গেছে। কাগজে-কলমে এর মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার। তবে প্রকৃতপক্ষে এসব সম্পত্তি কিনতে ক্রেতাদের ব্যয়ের পরিমাণ আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।