চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝরনায় নেমে স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝরনার পানিতে গোসল করতে নেমে মো. জুনায়েদ (১৩) নামের এক স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সে চট্টগ্রাম নগরের হাজী মহসিন বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার রাত সোয়া নয়টার দিকে ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে ঝরনার পানিতে নেমে নিখোঁজ হয় জুনায়েদ। সে নগরের চকবাজার এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমানের ছেলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি সূত্রে জানা গেছে, জুনায়েদসহ ১৪ স্কুলশিক্ষার্থী দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘুরতে এসেছিল। তাঁরা সবাই দুপুর ১২টার দিকে গোসল করতে ঝরনার কূপে নামে। অন্য ১৩ জন গোসল শেষে পাড়ে উঠলেও জুনায়েদ উঠতে পারেনি।

বিষয়টি অন্যদের নজরে এলে জুনায়েদকে আশপাশে খোঁজাখুঁজি করে অন্য শিক্ষার্থীরা। না পেয়ে পরে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানালে তাঁরা ক্যাম্পাসে আসেন। তখন পর্যন্ত জুনায়েদ ক্যাম্পাসের অন্য কোথাও রয়েছে, নাকি ঝরনার কূপে ডুবে গেছে—এ বিষয়ে কেউ নিশ্চিত ছিল না।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সন্দেহ হলে বিকেলে তারা বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানায়। দুই ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে রাত সোয়া নয়টার দিকে জুনায়েদের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, ডুবুরি দলের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে মরদেহটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় কলা ভবনের পেছনের এ ঝরনায় এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ বিভাগের প্রথম বর্ষের দুই শিক্ষার্থী ঝরনায় পড়ে নিখোঁজ হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ছাড়া ২০২০ ও ২০২২ সালেও এ ঝরনায় নেমে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক অহিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঝরনাটি ঝুঁকিপূর্ণ। প্রবেশপথে সতর্ক করে সাইনবোর্ডও লাগানো আছে। তবে অনেকেই নিষেধ অমান্য করে সেখানে যান। এখানে একজন প্রহরী রাখা প্রয়োজন।