পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল বা চাঁদা দাবি করলে পুলিশকে জানানোর পরামর্শ

পুলিশ সদর দপ্তরফাইল ছবি

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাটে নির্ধারিত হারের চেয়ে কেউ অতিরিক্ত হাসিল অথবা চাঁদা দাবি করলে পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। এ–সংক্রান্ত সহায়তার জন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট থানা অথবা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পুলিশের সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে আরও কিছু নিরাপত্তা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগরের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ট্রাক, লঞ্চ, নৌকা বা ট্রলারে অতিরিক্ত পশু বোঝাই করা যাবে না। মহাসড়কের ওপর এবং রেললাইনের পাশে কোরবানির পশুর হাট বসানো যাবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পশুর চামড়াবাহী যানবাহন সীমান্তমুখী হলে সেগুলো পাচার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ধরনের সন্দেহজনক চলাচলের ক্ষেত্রে বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে জানাতে হবে বা জরুরি সহায়তা নম্বর ৯৯৯–এ যোগাযোগ করা যাবে। পশুবাহী পরিবহনের সামনে গন্তব্যস্থল বা পশুর হাটের নাম লিখে টানিয়ে রাখতে হবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশুর হাটে টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করা যেতে পারে। বড় অঙ্কের নগদ টাকা পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নিতে হবে। কোনো নোট জাল সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানাতে হবে। মুঠোফোনে আর্থিক সেবার মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঈদযাত্রার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে হবে। এতে ট্রেন, বাস, লঞ্চ ও ফেরিঘাটের শেষ মুহূর্তের ভিড় এড়ানো সহজ হবে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও স্টিমারের ছাদে এবং ট্রাক, পিকআপ ও অন্যান্য পণ্যবাহী যানবাহনে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে হবে। নছিমন, করিমন, ভটভটি ইত্যাদি যানবাহনে চলাচল পরিহার করতে হবে।