‘ফিলিস্তিনে গণহত্যা চলতে দিলে মানবসভ্যতা ধ্বংস হবে’

ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে সংহতি সমাবেশ আয়োজন করে প্রগতিশীল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। এতে অংশ নেন বিভিন্ন বয়সের লোকজন। আজ বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম নগরের চেরাগি পাহাড় মোড় এলাকায়ছবি- সৌরভ দাশ

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ, দখলদারির অবসান ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে চট্টগ্রাম নগরে সমাবেশ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন। এতে বক্তারা বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় যে গণহত্যা চলছে, তা চলতে দেওয়া হলে পুরো মানবসভ্যতা ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।

আজ শনিবার বিকেলে নগরের চেরাগি পাহাড় মোড়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়। ‘চট্টগ্রামের প্রগতিশীল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ’-এর ব্যানারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ‘গণহত্যা বন্ধ করো’, ‘সাম্রাজ্যবাদ রুখে দাও’, ‘শিশু হত্যা বন্ধ করো’ লেখা-সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজির হন বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা। সমাবেশের সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মী রমেন দাশ গুপ্ত। এতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অশোক সাহা, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, কবি ও সাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, নজরুলসংগীত শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দীপেন চৌধুরী, ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি টিকলু কুমার দে, যুব ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিদুল সামির, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি লাকী দাশ, ন্যাপের সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠুল দাশ গুপ্ত প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন খেলাঘরের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার।

ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে সংহতি সমাবেশ আয়োজন করে প্রগতিশীল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। এতে অংশ নেন বিভিন্ন বয়সের লোকজন। আজ বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম নগরের চেরাগি পাহাড় মোড় এলাকায়
ছবি- সৌরভ দাশ

সমাবেশে অশোক সাহা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনি জনগণ মুক্তিসংগ্রামের জন্য জীবন দিয়ে যাচ্ছে। সেই মুক্তিসংগ্রাম শেষ করে দিতে গাজায় আয়োজন চলছে। ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা ফিলিস্তিনকে পৃথিবীর ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চায়। কিন্তু জাতিসত্তা বোমা মেরে ধ্বংস করা যায় না।

দেলোয়ার মজুমদার বলেন, আর কত শিশু-নারী মারা গেলে সাম্রাজ্যবাদ শক্তি এটিকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেবে, সেটি কারও জানা নেই। অবিলম্বে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।