বাংলাদেশ-হাঙ্গেরির মধ্যে একটি চুক্তি ও দুটি সমঝোতা স্মারক সই

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তোর উপস্থিতিতে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো সই হয়
ছবি: ইউএনবি

বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরি মধ্যে অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে একটি চুক্তি ও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তোর উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।

সই হওয়া চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো হলো—অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে চুক্তি, ২০২৪ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত স্টিপেনডিয়াম হাঙ্গারিকাম প্রোগ্রামের কাঠামোর আওতায় সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক।

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এগুলো সই হয়।

বৈঠকে দুই দেশের মন্ত্রীরা খাদ্যনিরাপত্তা, জ্বালানিনিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা বিশ্বজুড়ে মানুষের দুর্ভোগ কমাতে যুদ্ধের অবসানের প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও সম্মত হন।

দুই মন্ত্রী হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফর নিয়ে আলোচনা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন, এই সফরে ‘দ্বৈত কর পরিহার’, ‘বিনিয়োগের নিরপত্তাবিষয়ক চুক্তি’ ও ‘পানি সহযোগিতার চুক্তি’ সই হবে।

মন্ত্রীরা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা করেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে হাঙ্গেরির সহযোগিতা কামনা করেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হাঙ্গেরির প্রচেষ্টা থাকবে বলে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।

আব্দুল মোমেন বাংলাদেশি নাগরিকদের ঢাকা থেকে হাঙ্গেরির ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাঙ্গেরির মন্ত্রী জানান, বুদাপেস্ট এরই মধ্যে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে।

বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।