প্লট বরাদ্দ নিয়ে দুদকের করা মামলায় অব্যাহতি পেলেন মির্জা আব্বাস
প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের আপিল মঞ্জুর করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ আজ বুধবার এ রায় দেন। ফলে ওই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস অব্যাহতি পেলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।
আদালতে মির্জা আব্বাসের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও মো. রুহুল কুদ্দুস শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
সাংবাদিকদের জন্য প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ এনে দুদক ওই মামলা করে বলে জানান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এই মামলার এজাহারে মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না, অভিযোগপত্রে নাম আসে। এরপর অব্যাহতি চেয়ে বিচারিক আদালতে আবেদন করেন তিনি, যা নামঞ্জুর হয়। এর বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেন। শুনানি শেষে রুল খারিজ করে রায় দেন। অর্থাৎ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলবে। এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল মঞ্জুরের পর তিনি আপিল করেন। এই আপিল মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। এর অর্থ তাঁর বিরুদ্ধে ওই মামলা আর চলবে না। ওই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন মির্জা আব্বাস।
দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মির্জা আব্বাসের আপিল মঞ্জুর করেছেন। এই মামলার অভিযোগ থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন।
আইনজীবীর তথ্য অনুসারে, সাংবাদিকদের জন্য মিরপুরে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে ২০১৪ সালের ৬ মার্চ শাহবাগ থানায় মামলাটি করে দুদক। এতে ১৫ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ৯০০ টাকা রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর মির্জা আব্বাসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে মির্জা আব্বাস হাইকোর্টে আবেদন করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেওয়ার পাশাপাশি মামলার কার্যক্রম অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য স্থগিত করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১৩ মে রুল খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট।