সংঘর্ষের পর চবির হলে তল্লাশি, ছয়টি রামদা উদ্ধার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হলের কক্ষ দখল নিয়ে পুরোনো বিরোধের জেরে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের কারণে ছাত্রদের আবাসিক সোহরাওয়ার্দী ও আলাওল হলে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এ তল্লাশি চলে। এতে হাটহাজারী থানা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ফাঁড়ি থানার পুলিশ অংশ নেয়। তল্লাশির নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর শহীদুল ইসলাম।

প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ সূত্র জানায়, ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযানে দুটি হল থেকে অন্তত ছয়টি রামদা, রড ও বেশ কয়টি লাঠিসোঁটা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি।

এর আগে শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় সংঘর্ষে জড়িয়েছিলেন শাখা ছাত্রলীগের উপপক্ষ বিজয়ের নেতা–কর্মীরা। এতে ছাত্রলীগের উপ–আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক নয়ন মোদক ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হন। বিবদমান বিজয় উপপক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। এর আগে এ উপপক্ষ অমর একুশের প্রথম প্রহরে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। এতে ১২ নেতা–কর্মী আহত হয়েছিলেন।

তল্লাশির বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হলে বহিষ্কৃত ও বহিরাগত শিক্ষার্থীরা থাকছেন—এমন খবর পেয়ে তল্লাশি চালিয়েছিলেন। তবে তাঁরা এমন কাউকে পাননি। বিভিন্ন কক্ষের সামনে থেকে কিছু দেশীয় অস্ত্র তাঁরা উদ্ধার করেছেন।

সংঘর্ষের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনা তদন্ত করতে একটি কমিটি করা হয়েছিল। এ কমিটির সদস্যরা এটি নিয়ে কাজ করছেন।

পরে তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ও সহকারী প্রক্টর হাছান মুহাম্মদ রোমান প্রথম আলোকে বলেন, আবাসিক হলের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত তাঁরা সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেবেন।