ভারত থেকে ৭৯ জেলে-নাবিককে ফিরিয়ে আনতে কার্যক্রম শুরু
ভারতের কোস্টগার্ডের হাতে আটক ৭৯ জেলে-নাবিককে ফিরিয়ে আনতে কার্যক্রম শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আটক জেলে ও নাবিকদের জন্য ‘কনস্যুলার অ্যাকসেস’ চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ‘কনস্যুলার অ্যাকসেস’ হচ্ছে, বিদেশে কোনো নাগরিক আটক বা গ্রেপ্তার হলে তাঁকে সহায়তা দেওয়ার জন্য দূতাবাস থেকে ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ দেখানো।
গত সোমবার বাংলাদেশের মাছ ধরার দুটি ট্রলারসহ ৭৯ জন জেলে ও নাবিককে নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্ট গার্ড। খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকার অদূরে ট্রলারসহ জেলে-নাবিকদের ধরে নিয়ে যায় বলে মালিকপক্ষ ও নৌপরিবহন অধিদপ্তর নিশ্চিত করেছে।
দুটি নৌযান হলো এফভি লায়লা-২ ও এফভি মেঘনা-৫। এফভি লায়লা-২-এর মালিক প্রতিষ্ঠান এস আর ফিশিং। এফভি মেঘনা-৫–এর মালিক প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেড।
ভারতে আটক দুটি ট্রলারসহ ৭৯ জন জেলে-নাবিককে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চিঠিতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
কোস্টগার্ড আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠায়। তাতে বলা হয়, গত ৯ ডিসেম্বর ভারতীয় কোস্টগার্ড বাংলাদেশের মাছ ধরার দুটি ট্রলার আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাউন্ডারি লাইনের (আইএমবিএল) নিকটবর্তী এলাকায় মাছ ধরা অবস্থায় আটক করে নিয়ে যায়।
এ তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ভারতের কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা মাছ ধরার দুটি ট্রলার আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করে। এরপর বাংলাদেশ কোস্টগার্ড মাছ ধরার ট্রলার ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করে। জবাবে ভারতের কোস্টগার্ড জানায়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর ভারতের কোস্টগার্ড আর কোনো তথ্য জানায়নি। দুটি ট্রলার ওডিশার পারাদ্বীপ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জানিয়েছে।