অননুমোদিত ‘সিলিকন সিটি’ প্রকল্পের সব কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

সাভারের বড় বরদেশী মৌজায় জলাধার ও কৃষি জোন ভরাট করে গড়তে যাওয়া ‘সিলিকন সিটি’ নামের অননুমোদিত আবাসন প্রকল্পের সব কার্যক্রম বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ঢাকার জেলা প্রশাসকের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন। ওই আবাসন প্রকল্পের জন্য অননুমোদিত মাটি ভরাটের ফলে জলাশয়ের ক্ষতি নিরূপণ করতে এবং নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। বড় বরদেশী মৌজায় জলাধার ও কৃষি জোন ভরাটের কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে চলতি মাসে বেলা রিটটি করে।

আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ আলী, তাঁকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।

বেলা জানায়, ঢাকার সাভারের বড় বরদেশী মৌজার বিভিন্ন দাগে অসংখ্য খাল ও জলাশয় রয়েছে, যার মধ্যে স্থানীয়ভাবে পরিচিত চাপড়ার খাল অন্যতম। রাজউকের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় উল্লেখিত দাগগুলো মূল বন্যাপ্রবাহ এলাকা, কৃষি জোন ও জলাধার হিসেবে চিহ্নিত। সিলিকন ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড নামের আবাসন কোম্পানি ওই দাগগুলোতে বিদ্যমান খাল, আশপাশের কৃষিজমি ও নদীর অংশবিশেষ ভরাট করে ‘সিলিকন সিটি’ নামে আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। রাজউক ও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন ছাড়াই ‘সিলিকন সিটি’ প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলমান রেখেছে। অনুমোদনহীন ‘সিলিকন সিটি’ প্রকল্পের সাইনবোর্ড স্থাপন এবং স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেছে কোম্পানিটি। এ অবস্থায় সাভারের বড় বরদেশী মৌজায় অবস্থিত জলাশয়, কৃষিজমি ও নদীর অংশবিশেষে মাটি ভরাটের বৈধতা নিয়ে বেলা রিটটি করে।