বিএনপি আর টিআইবির ভাষা মিলে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে।ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনের সমালোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির ভাষা আর টিআইবির ভাষা মিলে গেছে। রিজভী আহমেদ প্রতিদিন প্রেস কনফারেন্স করে যে কথাগুলো বলেন, সেগুলোকে একটু পরিশীলিতভাবে গতকাল টিআইবি উপস্থাপন করেছে বলেই মনে হচ্ছে।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন।

এ সময় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রে টিআইবি গবেষণা না করেই শ্যালো কিছু বিষয় বা পত্রিকার রিপোর্ট এবং তড়িঘড়ি করে কিছু তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ করে সেটার ভিত্তিতেই প্রেস ব্রিফিং করে। গতকালেরটা আমার সে রকম মনে হয়েছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা বলছেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, সুন্দর আর স্বচ্ছ নির্বাচন হয়েছে। সেটিকে ম্লান করার উদ্দেশ্যে টিআইবি এই রিপোর্ট দিয়েছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। পৃথিবীর শক্তিধর দেশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশ। নতুন সরকারকে অনেকে অভিনন্দন জানিয়েছে। আবার অনেকে এই সরকারের সঙ্গে কাজ করার ও সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি।’

টিআইবির প্রতিবেদন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই রিপোর্ট আসলে কারও পক্ষ হয়ে দেওয়া হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন রেখেছেন অনেকেই। কারণ, বিএনপির ভাষা আর টিআইবির ভাষা মিলে গেছে। রিজভী আহমেদ প্রতিদিন প্রেস কনফারেন্স করে যে কথাগুলো বলেন, সেগুলোকে একটু পরিশীলিতভাবে গতকাল টিআইবি উপস্থাপন করেছে বলে মনে হচ্ছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সমালোচকসহ যারা এই নির্বাচন বর্জন করেছে, প্রতিহত করতে চেয়েছে, প্রতিহত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এখনো চেষ্টা চালাচ্ছে—তাদের মুখে অস্ত্র তুলে দেওয়ার জন্য এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে বলে অনেকেই বলছেন।

টিআইবির সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যেভাবে কঠোরভাবে, সুন্দরভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছে; সেটির বিন্দুমাত্র প্রশংসা টিআইবির রিপোর্টে নাই।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘নাগরিক সমাজের যে প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের ভুলত্রুটি উপস্থাপন করে, সরকারের সমালোচনা করে—আমরা সেগুলোকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করি। কিন্তু যখন রিপোর্ট কারও পক্ষে হয়ে, যখন রিপোর্ট হয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তখন সেটি রাষ্ট্র, সমাজ, সরকার কারোরই উপকারে আসে না। সেটি তখন বিশেষ কেনো গোষ্ঠীর মুখপাত্র হয়ে দাঁড়ায়।’

‘টিআইবি যেন বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর, নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বা গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির মুখপাত্র না হয়, সেটি আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের কামনা’—এই মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।