ক্যানসার চিকিৎসায় সরকারের নজর বাড়ানো দরকার

আয়োজক ও অতিথিদের সঙ্গে কৃতজ্ঞতা স্মারক পাওয়া সাংবাদিকেরা
ছবি: সংগৃহীত

স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের চিকিৎসার জন্য যাওয়ার জায়গা নেই। তাঁদের ভরসা সরকারি হাসপাতাল। কিন্তু সেখানকার যন্ত্রপাতি সারা বছর বিকল থাকে। এ অবস্থায় দেশে ক্যানসার রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় সরকারের নজর বাড়ানো উচিত।

আজ ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বক্তারা। রাজধানীর মহাখালীতে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম।

আলোচনা সভায় সাবেক স্বাস্থ্যসচিব এ এফ এম সরওয়ার কামাল বলেন, ক্যানসার রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় সরকারের নজর বাড়ানো দরকার। দেশে সরকারি হাসপাতালে দামি দামি যন্ত্রপাতি কেনা হলেও তা চালানোর মতো জনবলই নেই।
আরেক সাবেক স্বাস্থ্যসচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, ক্যানসার শহরের পাশাপাশি এখন থাবা ফেলেছে গ্রামেও। এ ব্যাপারে এখনই সরকারের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, স্তন ক্যানসার আক্রান্ত মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের যাওয়ার জায়গা নেই। নামীদামি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীরা আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রের সেবা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। অথচ দেশের একমাত্র সরকারি ক্যানসার হাসপাতালের বেশির ভাগ যন্ত্রপাতিই বিকল থাকে সারা বছর।

আরও পড়ুন

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আইইডিসিআরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক জাকির হাবীব, অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী, হালিদা হানুম আক্তার, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান রোকেয়া ইসলাম ও সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে স্তন ক্যানসার সচেতনতায় বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য ঢাকার ১০ জন সাংবাদিককে কৃতজ্ঞতা স্মারক দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন রীতা নাহার (বৈশাখী টেলিভিশন), রাশেদ রাব্বি (আজকের পত্রিকা), জাকিয়া আহমেদ (সকাল সন্ধ্যা), লাবণী গুহ রায় (বৈশাখী টেলিভিশন), মুজাহিদ শুভ (এখন টিভি), হাসান মিসবাহ (ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন), লাভলী আক্তার (যমুনা টেলিভিশন), রাবেয়া বেবী (ইত্তেফাক), মোরশেদা ইয়াসমিন পিউ (ইত্তেফাক), জাহিদ হাসান (যুগান্তর)।

আলোচনা সভা শেষে দুপুর ১২টার দিকে স্তন ক্যানসার সচেতনতার লক্ষ্যে গোলাপি সড়ক শোভাযাত্রার উদ্বোধন করা হয়। ময়মনসিংহের ৬টি জেলার দিকে যাত্রা শুরু করে ১২ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক দল। দলটি টানা চার দিনে ৬টি জেলা ও ১০টি উপজেলায় পথসভা, শোভাযাত্রা ও লিফলেট বিতরণ করবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি