নর্দান ইউনিভার্সিটির ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার রাজধানীর বিমানবন্দর–সংলগ্ন আশকোনায় নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশর স্থায়ী ক্যাম্পাসে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সমাজ গঠন, ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যোগ্য ও দক্ষ নাগরিক তৈরির পাশাপাশি মানবিক গুণাবলিরও বিকাশ ঘটাতে হতে হবে।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মসিউর রহমান বলেন, প্রযুক্তিগতভাবে পুরো পৃথিবীর খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আমাদেরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, তথ্যপ্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
সমাবর্তনে ৩ হাজার ৭৩২ শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফলের জন্য ৮ শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ।
অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত জ্ঞান শুধু সার্টিফিকেট লাভের উদ্দেশ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে দেশ এবং জাতির সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কমোডর এম মুনিরুল ইসলাম (অব.)।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, উপাচার্য, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তি, শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।