বনানীতে বহুতল ভবন নিয়ে পরবর্তী শুনানি ১৬ নভেম্বর

হাইকোর্ট ভবন
ফাইল ছবি

রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীতে সিটি করপোরেশনের জায়গায় বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডের তৈরি করা বহুতল ভবন, বিশেষত ২১ থেকে ২৮ তলার অবস্থান বিষয়ে ১৬ নভেম্বর শুনানির জন্য দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। পক্ষগুলোর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির এ দিন ঠিক করেন।

এর আগে গত ১৭ অক্টোবর হাইকোর্ট বহুতল ওই ভবন, বিশেষত ২১ থেকে ২৮ তলার বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিভিল এভিয়েশন) ষ্পষ্ট অবস্থান জানতে চান। অবস্থান বিষয়ে সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যানকে ৫ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হলফনামা দাখিল করতে বলা হয়। একই বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সচিবকে অবস্থান ব্যাখ্যা করে ৫ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা দাখিল করতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি ওঠে।

আদালতে রিট আবেদনকারী আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক, বোরাকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন ও আইনজীবী মো. আবু তালেব এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে আইনজীবী ইমতিয়াজ মঈনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিভিল এভিয়েশন) পক্ষে আইনজীবী সাইফুর রশীদ ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ উপস্থিত ছিলেন।  

হলফনামা করা হয়েছে বলে আদালতে উল্লেখ করেন সিভিল এভিয়েশনের আইনজীবী সাইফুর রশীদ। তখন কপি পাননি উল্লেখ করে এক সপ্তাহ সময়ের আরজি জানান সিটি করপোরেশনের আইনজীবী ইমতিয়াজ মঈনুল ইসলাম। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। বোরাকের আইনজীবী জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সচিবের প্রতি নোটিশ জারি হয়ে আসেনি। প্রতিউত্তর দেওয়ার জন্য সময় চান তারা। হলফনামা ও প্রতিবেদন পাননি বলে উল্লেখ করেন রিট আবেদনকারী। পরে হলফনামা ও প্রতিবেদন পক্ষগুলোকে দিতে বলে আদালত শুনানির জন্য ১৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

‘সরকারি জমিতে পাঁচ তারকা হোটেল’ শিরোনামে গত ১ জুন প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১২ জুন হাইকোর্ট রুল দিয়ে বহুতল ওই ভবন নির্মাণের জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন ও বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে হিস্যা ও সুবিধাদি নিয়ে ওঠা ইস্যুগুলো বিধান মেনে দুই মাসের মধ্যে মীমাংসা করতে নির্দেশ দেন।

পরবর্তীতে গত ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট বহুতল ওই ভবন নির্মাণের জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন ও বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত করতে এবং চুক্তি অনুসারে দু’পক্ষের হিস্যা–সুবিধাদি বুঝে নিতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনকে ৯ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় ও সিভিল এভিয়েশনের কিছু ইস্যু থাকায় হিস্যা নিয়ে চুক্তি চূড়ান্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা যায়নি বলে ৯ অক্টোবর উত্তর সিটি করপোরেশনের আইনজীবী জানান। সেদিন ভবনটির ২১ থেকে ২৮ তলা পর্যন্ত হিস্যা বন্টনের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেওয়া হয়।

এরপর গত ১৭ অক্টোবর হাইকোর্ট বহুতল ওই ভবন, বিশেষত ২১ থেকে ২৮ তলার বিষয়ে সিভিল এভিয়েশনের ষ্পষ্ট অবস্থান জানতে চেয়ে আদেশ দেন। এর আগে শুনানিতে আদালত বলেন, সিভিল এভিয়েশন ২০১ ফুট (২০ তলা) পর্যন্ত নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে, একটি চিঠিতে দেখা যাচ্ছে।