অভিযোগ থেকে প্রতিমন্ত্রীকে অব্যাহতি, তিনজনের প্রার্থিতা বাতিল

নির্বাচন কমিশন ভবনফাইল ছবি

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রতিমন্ত্রী এবং ওই তিন প্রার্থীকে তলব করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শুনানি শেষে প্রতিমন্ত্রীকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিলেও ওই তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে ইসি।

আজ রোববার বিকেলে প্রথমে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানের শুনানি নেয় ইসি। পরে তিন প্রার্থীর শুনানি হয়। ৫ জুন ওই উপজেলায় ভোট হবে।

শুনানি শেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করায় রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. সাইদুজ্জামান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রওশন মৃধা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফেরদৌসী পারভীনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।

অশোক কুমার দেবনাথ প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিমন্ত্রী লিখিতভাবে কমিশনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেটি আমলে নিয়ে কমিশন তাঁকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। আর তিনি যখন ওই বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন তিন প্রার্থী তাঁর সঙ্গেই ছিলেন। এই তিনজনের জন্যই তিনি ভোট চেয়েছিলেন। শুনানিতে তাঁরা সেটি স্বীকার করেছেন। কমিশন তাঁদের প্রার্থিতা বাতিল করেছে।

৩১ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে প্রতিমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছিল ইসি। একই সঙ্গে ওই তিন প্রার্থীকেও হাজির হতে বলেছিল ইসি।

ইসির চিঠিতে বলা হয়েছিল, রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া ঘাটে এবং চালতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালতাবুনিয়া বাজারে ত্রাণ বিতরণের সময় প্রতিমন্ত্রী প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, যা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ কার্যক্রম উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালার লঙ্ঘন।

আরও পড়ুন