বিগত ১৫ বছরে নিয়োগ-পদোন্নতিতে দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তা–কর্মচারী নিয়োগ এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যসচিব মোহাম্মদ মশিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তা–কর্মচারী নিয়োগ এবং পদোন্নতির (আপগ্রেডেশন) ক্ষেত্রে কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়ম হয়ে থাকলে, তা তদন্ত কমিটির কাছে লিখিতভাবে জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযোগকারীকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে লিখিত বিবরণ ও প্রমাণসহ সিলগালা খামে অভিযোগ জমা দিতে হবে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্‌দীন বরাবর তথ্য ও অভিযোগপত্র পাঠাতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গঠিত কমিটি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পাওয়া অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ পেশ করবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভাষ্য, নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিগত ১৫ বছরে শিক্ষক ও কর্মকর্তা–কর্মচারী নিয়োগে এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়ম অনুসন্ধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক মো. রইছ উদ্‌দীনকে আহ্বায়ক ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ মশিরুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা কাকলি, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াস উদ্দিনকে সদস্য করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রইছ উদ্‌দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে নিয়োগ ও পদোন্নতিতে আমরা অনেক দুর্নীতি দেখেছি। এসব দুর্নীতির তথ্যানুসন্ধানে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আপনারা আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে আমরা এগিয়ে যেতে পারব। বিশ্ববিদ্যালয়ের পদোন্নতির ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদের আমলে তিন বছরের ভেতর সহকারী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক হওয়া নজির রয়েছে। আমরা সব তথ্য অনুসন্ধান করে পরবর্তী সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেব।’

বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে রক্ষা করা হবে বলেও জানানো হয়।