চট্টগ্রামে ছেলে ও মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে মারধর

চট্টগ্রাম জেলার মানচিত্র

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছেলে ও মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধরে অভিযুক্ত দুজনকে আটক করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নেওয়া হলে সেখানে হামলা চালান তাঁদের অনুসারীরা। তাঁদের আটকের জেরে হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি সড়কে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। পরে আটক একজনকে ইউপি কার্যালয় থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। সোমবার সকালে উপজেলার ধলই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানায়, সোমবার সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় সোনাইকুল এলাকার দুই ভাইবোন প্রাইভেট পড়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়। চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের মুনিয়া পুকুরপাড়ের এনায়েতপুর বাজারে পৌঁছালে মো. শাকিব ও মো. মেহেদী নামের স্থানীয় দুই যুবক তাদের গতিরোধ করে। এ সময় তাদের প্রেমিক–প্রেমিকা দাবি করে উত্ত্যক্ত করা হয়। খবর পেয়ে দুই ভাইবোনের বাবা খোরশেদ আলম ঘটনাস্থলে আসেন। ওই সময় তাঁকেও মারধর করা হয়।

পরে স্থানীয় লোকজন মো. শাকিবকে ধলই ইউনিয়ন কার্যালয়ে নিয়ে যান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শাকিব ও মেহেদীর সহযোগীরা ইউপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় ঘটনাস্থলে যাওয়া হাটহাজারী থানা-পুলিশের এক কনস্টেবল আহত হন। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি সড়কে অবরোধ করে রাখা হয়। প্রায় ১০ মিনিট পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ধলই ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল মনসুর জানান, উত্ত্যক্তকারীরা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজিজের নেতৃত্বে হামলা চালায়।

তাঁরা এই ইউপি নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. শাহ নেওয়াজ চৌধুরীর কর্মী।

এ বিষয়ে মো. শাহ নেওয়াজ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তাঁর সমর্থক ও কর্মীরা এই হামলার সঙ্গে জড়িত নন। সকাল থেকে তিনি স্থানীয় একটি কলেজে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছিলেন। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজিজও ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুরে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহুল আমীন সোমবার রাত ১০টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, দুই উত্ত্যক্তকারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আহত পুলিশ সদস্য প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।