স্বাস্থ্যের কাজে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

আজ শনিবার সিরডাপ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএইচসি ফোরামের আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করা হয়ছবি: প্রথম আলো

সাফল্যের পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্য খাতের বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করার জন্য ইউএইচসি ফোরাম নামের নতুন একটি নাগরিক মোর্চার আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এর নেতৃত্বে আছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান।

আজ শনিবার সিরডাপ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএইচসি ফোরামের আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করা হয়। বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এঁদের অনেকেই এই ফোরামের সঙ্গে থেকে কাজ করবেন বলে অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে হোসেন জিল্লুর রহমান নতুন এই ফোরাম গঠনের প্রেক্ষাপট ও যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে সাফল্যের পাশাপাশি সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ আছে। সব সমস্যা নিয়ে কাজ না করে এই মোর্চা পাঁচটি সমস্যাকে কৌশলগত অগ্রাধিকার হিসেবে দেখছে। এর মধ্যে আছে অসংক্রামক রোগের বোঝা, নগর স্বাস্থ্য, ব্যক্তির নিজস্ব স্বাস্থ্য ব্যয়, স্বাস্থ্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং স্বাস্থ্য উদ্যোগে মানুষকে সম্পৃক্ত করা।

অনুষ্ঠানে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বা ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ (ইউএইচসি) অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কী কী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে এবং কীভাবে সেসব সমস্যা কাটানো সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, চিকিৎসার ক্ষেত্রে তিনটি অনিশ্চয়তা কাজ করে। সেগুলো হলো মানুষ কখন অসুস্থ হবে, কোন ধরনের রোগে সে আক্রান্ত হবে এবং তার চিকিৎসা ব্যয় কত হবে। তিনি বলেন, সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনের বাধা ব্যক্তির নিজের পকেটের ব্যয়। স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৭০ শতাংশ মানুষ নিজে ব্যয় করে। ২৩ শতাংশ সরকার এবং বাকি ৩ শতাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল ও লিয়াকত আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক রুমানা হক বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, নতুন এই সংগঠন তিনটি কাজকে অগ্রাধিকার দেবে। এর মধ্যে আছে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনের অগ্রগতি পর্যালোচনা, স্বাস্থ্য সংস্কারে কৌশল প্রণয়ন ও স্বাস্থ্যের কাজে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করা।