নিজ থেকে চিকিৎসা নিতে আসা বানরটিকে বাঁচানো গেল না

বানর
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের নামারবাজারে বৈদ্যুতিক শকে আহত হওয়া বানরটিকে বাঁচানো গেল না। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বানরটির মৃত্যু হয়। বানরটি চট্টগ্রামের ষোলো শহরে অবস্থিত বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কার্যালয়ের রাখা হয়েছিল।

মৃত্যুর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বানরটি খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেয়। এরপর এটি আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, তরল খাবার খাওয়ানো হচ্ছিল। পরে আজ বানরটির মৃত্যু হয়।’  

আরও পড়ুন

দীপান্বিতা ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা অনেক চেষ্টা করেও বানরটিকে বাঁচাতে পারলাম না। বানরটির শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত ছিল। যন্ত্রণায় কাতর ছিল। চিকিৎসাও চলছিল। মাঝখানে খাওয়াদাওয়া করছিল। কিন্তু গতকাল থেকে শারীরিক অবস্থা একদম খারাপ হয়ে যায়।’

আরও পড়ুন

গত ২৮ আগস্ট সীতাকুণ্ডের নামারবাজার এলাকার একটি খুঁটিতে বৈদ্যুতিক শকে আহত হয় বানরটি। খুঁটি থেকে নিচে পড়ে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পায় বানরটি। পরে এটি ঘটনাস্থলে থেকে চলে যায়।

এরপর ২ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথমবারের মতো অসুস্থ বানরটিকে দেখা যায়। বৈদ্যুতিক শকে আহত হওয়া বানরটি যন্ত্রণায় কাতর ছিল। শরীরের পেছনের অংশে ছিল গভীর ক্ষত। সেদিন এটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দিনের মতো বানরটি হাসপাতালে এসে হাজির হয়। সেদিন বিকেল পাঁচটার দিকে বানরটিকে ড্রেসিং করে প্রথমবারের মতো ব্যান্ডেজ করা হয়।

আরও পড়ুন

ব্যান্ডেজ করার সময় বানরটি চুপচাপ বসে ছিল। ব্যান্ডেজ শেষে বানরটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশের বনে চলে যায়। পরে ৪ সেপ্টেম্বর তৃতীয় দিনের মতো আবার হাসপাতালে আসে বানরটি। হাসপাতালে এলে এর ক্ষতস্থান ড্রেসিং করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মীরা।

পরে দুপুরের দিকে বানরটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এস কাদেরী টিচিং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এই হাসপাতালে এত দিন বানরটির চিকিৎসা চলছিল।

আরও পড়ুন