উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা

জাতীয় সংসদ ভবন
ফাইল ছবি

সংসদ কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে বর্তমানে ৮ স্কোয়াড্রন যুদ্ধবিমান রয়েছে। ভবিষ্যতে বিমানবাহিনীকে যুগোপযোগী ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’–এর আলোকে আরও উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক এসব তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে বর্তমানে দুটি সাবমেরিনসহ ছোট–বড় ৬৫টির বেশি যুদ্ধজাহাজ, দুটি হেলিকপ্টার ও চারটি মেরিটাইম এয়ারক্রাফট রয়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে বাজেট বরাদ্দের ওপর ভিত্তি করে পর্যায়ক্রমে ফ্রিগেট, করভেট, অফসোর প্যাট্রল ভেসেল (ওপিভি), মাইন কাউন্টারমেজারস ভেসেল (এমসিএমভি), লার্জ প্যাট্রল ক্রাফট (এলপিসি), ওশান টাগ, হারবার টাগ, অয়েল ট্যাংকার, লজিস্টিক শিপ, ফ্লোটিং ক্রেন, হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে ভেসেল ও হোভারক্রাফট সংযুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে।

কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকরিতে নেই

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধার সর্বশেষ জন্ম তারিখ ৩০ মে, ১৯৫৯। সে অনুযায়ী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধি মোতাবেক চাকরিকাল হবে ৩০ মে, ২০১৯ পর্যন্ত। বর্তমানে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকরিতে বিধি অনুযায়ী কর্মরত নেই।

৩১ জরিপ কর্মকর্তা চাকুরিচ্যুত

গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী  জানান, জরিপ–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে ‘জিরো টলারেন্স’ (শূন্য সহিষ্ণুতা) নীতিতে তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করে বিভাগীয় মামলা দায়ের করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে ৫৮টি বিভাগীয় মামলা চলমান রয়েছে। বিভাগীয় মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ৩১ জন জরিপ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম নাজমা আকতারের প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ভূমিসংক্রান্ত মামলা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন সংশোধনীর জন্য গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। এ আইন সংশোধিত হলে সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।