দুই মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিজ্ঞাপন, ব্যাখ্যা চেয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে ইউজিসির চিঠি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না মেনে নবনিযুক্ত দুজন মন্ত্রীকে জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের খরচ কোন খাত থেকে করা হচ্ছে, সেটিও জানতে চেয়েছে মঞ্জুরি কমিশন।
আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে দেওয়া এক চিঠিতে এ ব্যাখ্যা চেয়েছে ইউজিসি। ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক মো. গোলাম দস্তগীরের সই করা চিঠিতে দেশের সাতটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে গত শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সেবা শাখা থেকে জারি করা নির্দেশনা কেন মানা হয়নি, তারও জবাব চাওয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এসব জবাব কমিশনে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দায়িত্বে থাকা সদস্য অধ্যাপক হাসিনা খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইউজিসি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য কোনো বরাদ্দ দেয় না। তাই কোন খাত থেকে এর খরচ দেওয়া হবে, সেটি জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয় থেকে যেখানে ফুল দিতেও নিষেধ করা হয়েছে, সেখানে বিজ্ঞাপন কেন দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে। জবাব পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১২ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে নবনিযুক্ত মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা না জানাতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তবে এ নির্দেশনা না মেনে কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, তিনি চিঠি পেয়েছেন। উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে এ চিঠির জবাব দেবেন।
নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার বলেন, তিনি পত্র-পত্রিকায় দেখেছিলেন, তবে দাপ্তরিকভাবে কোনো নির্দেশনা পাননি।
এ বিষয়ে উপাচার্য শিরীণ আখতারের বক্তব্য জানাতে তাঁর মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।
তবে উপাচার্যের বরাত দিয়ে প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, উপাচার্য জবাব তৈরি করছেন।