ভারতের ট্রানজিট সুবিধা স্থগিত রাখার দাবি জনতা পার্টির

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার সকালে জনতা পার্টির আয়োজনে ‘ভারতের অমানবিক পুশ ইনের প্রতিবাদে’ মানববন্ধনছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশে ভারতের ‘পুশ ইন’ এবং পণ্য রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ভারতের ট্রানজিট সুবিধা স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছে জনতা পার্টি বাংলাদেশ।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার সকালে জনতা পার্টির আয়োজনে ‘ভারতের অমানবিক পুশ ইনের প্রতিবাদে’ মানববন্ধনে নেতারা এসব কথা বলেন। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ভারতে অবৈধভাবে আশ্রিত আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদদের ‘পুশ ইন’ (ভারত থেকে বাংলাদেশে পাঠানো) করার দাবি জানানো হয়েছে মানববন্ধন থেকে।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুসলিম লীগের সভাপতি মহসিন রশীদ বলেন, অবিলম্বে ভারতের হাইকমিশনারকে ডেকে কড়া ভাষায় ‘পুশ ইন’র প্রতিবাদ জানাতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বাংলাদেশে কর্মরত অবৈধ ভারতীয় শ্রমিকদের পুশ ব্যাক করার দাবি জানান তিনি।

এ সময় সভাপতির বক্তব্যে জনতা পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলন বলেন, ‘সময় এসেছে ভারতের এই নিষ্ঠুর পুশ ইন থামানোর। একাত্তর ও চব্বিশের চেতনায় বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র। কারও করদ রাজ্য নয়।’

ভারতীয় জনগণের বন্ধুত্ব, ভাষা ও সংস্কৃতিকে সম্মান করেন উল্লেখ করে গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘কিন্তু ভারতের আধিপত্যবাদী রাজনীতিকে ঘৃণা করি।’

জনতা পার্টির মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, ‘স্থলপথে রপ্তানি (বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য পাঠানো) বন্ধ করে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে চাচ্ছে ভারত। ত্রিপুরায় পণ্য পাঠাতে হলে এখন কলকাতা হয়ে পাঠাতে হবে। অথচ বাংলাদেশের বিগত আওয়ামী লীগ সরকার কলকাতা থেকে সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোতে পণ্য পাঠাতে ট্রানজিট ও বন্দর ব্যবহার সুবিধা দিয়ে রেখেছে। অবিলম্বে এসব সুবিধা স্থগিত করা দরকার।’

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন জনতা পার্টির উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, মেজর (অব.) মুজিব, ভাইস চেয়ারম্যান ওয়ালিউর রহমান খান ও এম এস ইউসুফ, গ্রিন পার্টির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, মেজর (অব.) ইমরান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনতা পার্টির যুগ্ম মহাসচিব রফিকুল ইসলাম।